ইমরানের চোখে আলো নেই, আছে প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি। আছে সব বাঁধা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে চলার মনোবল ও সাহস। তার জীবনের গল্প হয়তো ভিন্ন। তবে চারপাশের মানুষ ও প্রকৃতির সৌন্দর্য নিজ চোখে দেখতে না পেলেও প্রবল ইচ্ছে আছে আলোকিত মানুষ হবার। এমনটি ভেবেই অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতোও চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা জীবন।
জীবন যুদ্ধে হার না মানা নরসিংদীর পলাশ উপজেলার এক দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী মো. ইমরান হোসেনের কথা। এবার পলাশ শিল্পাঞ্চল সরকারি কলেজের মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ঘোড়াশাল ইউরিয়া সারকারখানা কলেজ কেন্দ্রে।
পরীক্ষা সময় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ইমরান হোসেন পরীক্ষা দিচ্ছে। তার পক্ষে শ্রুতি লেখক হিসেবে ছিলেন নরসিংদীর দৌলতকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিপা ইসলাম। নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা শেষ করলো ইমরান হোসেন।
ইমরান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমার পরীক্ষা দিতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। শিক্ষকরা আমার প্রতি অনেক আন্তরিক ব্যবহার করছে। বাড়তি সুবিধাও দিচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত আমার বাড়তি সুবিধার প্রয়োজন হয়নি।
পলাশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ইমরানের বিষয়ে আমরা প্রথম থেকেই অবগত আছি এবং আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দেশ দিয়েছি বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার জন্য।
ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার পরিতোষ কর্মকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। বোর্ড অনুমতি অনুযায়ী তার সাথে একজন শ্রুতি লেখক রয়েছে। বাড়তি সুবিধা অনুযায়ী ৩ ঘণ্টার পরীক্ষায় ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয়। যেহেতু পরীক্ষা দেড় ঘণ্টা তাই বাড়তি সুবিধা অনুযায়ী আমরা তাকে দশ মিনিট বাড়তি সময় দিচ্ছি।