গত ২৬ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত ‘শিক্ষার বিষয় আমাদের করণীয়’ উপসম্পাদকীয় কলামে প্রফেসর ড. আবদুল খালেক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়ে বলেছেন, এই মুহূর্তে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, অধ্যাপক খালেক স্যারের সঙ্গে একমত হয়ে বলতে চাই—করোনা মহামারিতে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাস কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে, কেউ বলতে পারেন না। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষাসমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল এপ্রিল মাসের শুরুতে। যদি সহসাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না যায়, তবে এইচএসসি পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া যায় তা ভেবে দেখা দরকার।
ঐচ্ছিক বিষয় বাদ দিয়ে শুধু মূল বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। মূল পরীক্ষাকেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ) ভ্যেনু কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পরীক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বসবে। তারা মাস্ক পরে হলে প্রবেশ করবে ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার সঙ্গে আনবে। প্রয়োজনে অন্য কলেজের শিক্ষকদেরও পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। পরীক্ষকরা পরীক্ষার উত্তরপত্র আগে বোড থেকে গ্রহণ করতেন।
এ বছর কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার উত্তরপত্র পরীক্ষকদের ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। তাত্ত্বিক পরীক্ষার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শিক্ষার্থীর স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে নেওয়া যেতে পারে। এভাবে শিক্ষা কার্যক্রমকে কিছুটা হলেও গতিশীল করে সেশনজট থেকে বেরুনো যাবে।
লেখক : জহুরুল হক বুলবুল, সহকারী অধ্যাপক, টাঙ্গাইল