হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের জুনিয়র অডিটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আগামী ১ এপ্রিল বিকেলে। একই দিনে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষাও সকাল-বিকেল দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। কারণ অনেকেই এই দুই পরীক্ষায় অংশ নিতে চান।
১৬তম গ্রেডভুক্ত জুনিয়র অডিটরের ৪৫৭টি শূন্য পদের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। আর প্রাথমিকের প্রথম ধাপেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখের বেশি বলে জানা গেছে। বড় এই দুটি নিয়োগ পরীক্ষা একই দিনে একই সময়ে পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আবার এই একই দিনে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষাও নেওয়া হবে। ফলে রাজধানীতে যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তানভির আহমেদ নামের একজন প্রার্থী এ বিষয়ে বলেন, একই সময়ে দুই পরীক্ষা হলে একটা তো নিশ্চিতভাবেই ছেড়ে দিতে হবে। এত বড় পরীক্ষার দিনে এমনিতেই তীব্র যানজট থাকে। এ জন্য বাড়তি ভোগান্তিতেও পড়তে হবে।
১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এপ্রিল থেকে পাঁচ ধাপে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার
সিদ্ধান্ত হয়। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আগামী ১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৮ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা হবে দুই শিফটে। এর মধ্যে প্রথম শিফট সকাল ১০টায় ও দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বিকেল ৩টায় শুরু হবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা রয়েছে।
অন্যদিকে, ১৪ মার্চ জুনিয়র অডিটর পদের এমসিকিউ পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। সূচি অনুযায়ী, জুনিয়র অডিটরের পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এখন আর পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন হবে কি না, জানতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-সংক্রান্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ১ এপ্রিলের পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। একই সঙ্গে কয়েকটি বড় পরীক্ষা থাকলে প্রার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ওই দিন পরীক্ষা না-ও হতে পারে।