ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীন থাকা সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের এমসিকিউ পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। ১ হাজার ৪৩৯টি শূন্য পদের বিপরীতে এই পরীক্ষায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৪ জন প্রার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থীই এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নেওয়ার বদলে এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন কি না, সেই হিসাব কষতে ব্যস্ত। কারণ, একই দিনে রয়েছে আরও ৯টি নিয়োগ পরীক্ষা।
তা ছাড়া এর আগে গত ৬ নভেম্বর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পরও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে তা বাতিল করা হয়। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি আবারও এই পরীক্ষার সূচি নির্ধারণ করে শেষ মুহূর্তে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
ফারজানা ইসলাম নামের একজন প্রার্থী বলেন, ‘শুক্রবার ব্যাংকের পরীক্ষার দিনেই মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যসেবা কর্মকর্তা পদেরও পরীক্ষা। এখনো জানি না, কোনটিতে যাব।’
সমন্বিত পাঁচ ব্যাংক এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা ছাড়াও কাল শুক্রবার আরও যেসব সরকার-নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসসিআর), বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয় (দক্ষিণাঞ্চল), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এর মধ্যে সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের পরীক্ষায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০৪ জন এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরীক্ষায় ৩৮ হাজার ৯৫৭ জনের অংশ নেওয়ার কথা। সব মিলিয়ে আগামীকালের পরীক্ষাগুলোয় প্রার্থীর সংখ্যা তিন লাখের বেশি বলে জানা গেছে।
একই দিনে এতগুলো পরীক্ষা নিয়ে গত সেপ্টেম্বর থেকেই ক্ষোভ জানিয়ে আসছেন প্রার্থীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, টেন্ডার দেওয়া ও কেন্দ্র নির্বাচন সবকিছু একটা বড় প্রক্রিয়া। একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা পড়ে গেলে একটা যদি স্থগিত করা হয়, তবে সেটা কয়েক মাস পিছিয়ে যায়।