গাজীপুরের শ্রীপুরে একটিতে পাঠদান করে এমপিওভুক্ত দু'টি বিদ্যালয় থেকে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন এক শিক্ষক। অনুসন্ধানে বিষয়টি উঠে আসলে দোষ স্বীকার করে অর্থ ফেরত দেয়ার কথা জানান অভিযুক্ত শিক্ষক শাহীন মিয়া। জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুই স্কুলের শিক্ষক হিসেবেই বেতন তুলছেন দিব্যি। মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও এ জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। যেখানে দুটি প্রতিষ্ঠানেই শাহীন মিয়ার নাম, জন্ম তারিখ, ব্যাংক হিসাব নাম্বার এমন কি পৃথক ইনডেক্স নম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান জানান, ইদানিং তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে, এটা আমি শুনেছি। তবে তিনি আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিদিনই ক্লাস নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শাহীন মিয়া নিজের ভুল স্বীকার করে বলছেন অনিয়ম করে উত্তোলন করা সব টাকা ফেরত দেবেন তিনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, একজন শিক্ষক কখনই দুটি বিদ্যালয়ে এক সঙ্গে চাকরি করতে পারবেন না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিমাসে শৈলাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৮ হাজার ১৭৭ টাকা ও আলহাজ্ব মোসলেউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা তুলছেন শাহীন মিয়া।