প্রাথমিক বিদ্যালয় এক শিফটের নামে অসহনীয় সময়সূচি এবং শিক্ষার্থীর সংকট সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের নেতারা।
দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, অভিন্ন (কর্মঘণ্টা, পাঠ্যবই ও মূল্যায়ন) ব্যবস্থা না হলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী সংকট বৃদ্ধি পাবে। অতিরিক্ত শিক্ষার নামে এক শিফটের বিদ্যালয় পুনরায় চালু না করে সব শিশুর জন্য অভিন্ন (কর্মঘণ্টা, বই ও মূল্যায়ন) ব্যবস্থা চালু করার আহ্বান জানান শিক্ষক নেতারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা (ঠাকুরগাঁও), যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা (ময়মনসিংহ), সদস্য সচিব সুব্রত রায়, সদস্য (সাংগঠনিক) মো. সাখাওয়াত হোসেন (কুমিল্লা), এম এ ছিদ্দিক মিয়া, ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক মো. মাসুদুর রহমান (গাইবান্ধা), এ বি এম আ. বাতেন জমাদ্দার (পিরোজপুর), কামরুল ইসলাম বাচ্চু (ত্রিশাল), মো. শফিকুল ইসলাম মানিক (বি.বাড়িয়া), আরিফ দেওয়ান (গাজীপুর)।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সারাদেশে প্রায় সকল ১ শিফটের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংকটে বেহাল অবস্থা। ৬২৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০ এর নিচে ও ২৫টির শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০ এর নিচে। ১০০ এর নিচে শিক্ষার্থী সংখ্যা কয়েক হাজার বিদ্যালয়ের। ঢাকা শহরের ১ শিফটের শিক্ষার্থী সংকটে করুণ অবস্থা। এর কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচি অমানবিক হওয়ায় অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের কিন্ডার গার্টেন বা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখায় পড়াশোনা করাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ কিন্ডার গার্টেনসহ সব শিশু শিক্ষার্থীর অভিন্ন কর্মঘণ্টা, পাঠ্যবইয়ের দাবিতে ২১ মার্চ ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।