একই প্রশ্নে প্রথমবার সর্বোচ্চ নম্বর দ্বিতীয়বার ফেল - দৈনিকশিক্ষা

একই প্রশ্নে প্রথমবার সর্বোচ্চ নম্বর দ্বিতীয়বার ফেল

রুমি আক্তার পলি, সিনিয়র রিপোর্টার (টাঙ্গাইল) |

একই প্রশ্নে প্রথমবার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয়বার ফেল করেছেন এক নারী। টাঙ্গাইলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদে নিয়োগ পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত আদ্রিতা রহমান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়ে।

এই ঘটনায় বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের কেন্দ্রসচিব, সহকারী কেন্দ্রসচিব ও প্রার্থীর কক্ষের ইনভিজিলেটরের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আতাউল গনি।

ডিসি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, গত ৭ জুন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই লিখিত এবং ১৭ জুলাই ব্যাবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

সেখানে ১২ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হন। আদ্রিতা সর্বোচ্চ ৬৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হন। তিনি লিখিত পরীক্ষায় ৬০ ও ব্যাবহারিকে শূন্য এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৯ নম্বর পান। চূড়ান্ত পরীক্ষর ফল প্রকাশিত হওয়ার পর জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই প্রার্থীর বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে এবং নিয়োগ কমিটির কাছে অভিযোগ করে। নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, সদস্য ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শামীম আরা রিনি ছিলেন সদস্যসচিব। কঠোর গোপনীয়তার মাধ্যমে পরীক্ষার রাতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।

এদিকে ওই প্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে নিয়োগ পাওয়ার ফলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠায় অধিকতর যাচাইয়ের স্বার্থে একই প্রশ্নে তাঁর ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক তাঁর কক্ষে ওই প্রার্থীর ফের পরীক্ষা নেন। পরীক্ষায় তিনি এলোমেলো আচরণ করেন এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি। তাঁর লিখিত পরীক্ষার নম্বর ও বাস্তব পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে অসামঞ্জস্য হওয়ায় নিয়োগ কমিটির সদস্যদের কাছে এটাই প্রতীয়মান হয়েছে তিনি যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন কেন্দ্রের সচিব, সহকারী সচিব ও কক্ষে পরীক্ষকের সহায়তায় প্রার্থী এই অস্বাভাবিক নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্র প্রার্থীর মা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় কেন্দ্রসচিব, সহকারী সচিব ও ইনভিজিলেটর দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অগোচরে পরস্পর যোগসাজশে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সহায়তা করে থাকতে পারেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ডিসি।

টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা খানম বলেন, ‘ওই পরীক্ষায় আমার হস্তক্ষেপ বা দায়িত্ব ছিল না। পরীক্ষার সব দায়দায়িত্ব পালন করেছেন ডিসি। ’

ডিসি আতাউল গনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে সে জন্য আমরা অধিকতর তদন্তের জন্য লিখিত আবেদন করেছি। ’

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0081338882446289