একই মাদরাসার এমপিও শিটে শিক্ষকদের পদবি সংশোধনের আবেদন আলাদা আলাদাভাবে না পাঠিয়ে একসাথে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলছে, মাদরাসার শিক্ষকদের পদবি সংশোধনের আবেদন আলাদা আলাদাভাবে বিভিন্ন সময়ে মাদারাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানোয় তা নিষ্পত্তিতে সময়ের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া আলাদা আলাদা আবেদন পাঠানোয় বিভিন্ন তথ্য নিশ্চিত হতেও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তাই সব মাদরাসাকে এমপিও শিটে শিক্ষকদের পদবি সংশোধনের আবেদন একত্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এমপিওভুক্ত সব মাদরাসার সুপার ও অধ্যক্ষকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে অধিদপ্তর বলছে, এমপিওভুক্ত মাদরাসাগুলোর এমপিও শিট পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষক কর্মচারীর পদবি ও বিষয় উল্লেখ নেই। বিভিন্ন মাদরাসা থেকে এমপিও শিটের পদবি ও বিষয়বিহীন সব শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন একত্রে না পাঠিয়ে ভিন্ন ভিন্নভাবে পদবি ও বিষয় সংযোজন বা সংশোধনের আবেদন অধিদপ্তরে পাঠান। ফলে একই মাদরাসার ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দাখিল করা আবেদন নিস্পত্তি করতে একদিকে সময়ের অপচয় হয়, অন্যদিকে এমপিও শিটের পদবি ও বিষয়বিহীন সব শিক্ষক-কর্মচারীর সংযোজন বা সংশোধনের আবেদন একত্রে অগ্রায়ণ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মাদরাসার বিষয়ভিত্তিক পদ বা পদবির প্রাপ্যতা নির্ধারণ, নিয়োগ যাচাই, এমপিওকরণ ও অন্যান্য তথ্য নিশ্চিত হয়ে আবেদন নিষ্পত্তিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়।
তাই, এমপিও শিটে পদবি ও বিষয় সংযোজন বা সংশোধনের আবেদন ভিন্ন-ভিন্নভাবে না পাঠিয়ে মাদরাসাভিত্তিক এমপিও শিটের পদবি ও বিষয়বিহীন সব শিক্ষক-কর্মচারীর পদবি ও বিষয় সংযোজন বা সংশোধনের আবেদন একসাথে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
এমপিভুক্ত মাদরাসাগুলোর এমপিও শিটে শিক্ষক-কর্মচারীদের পদবি ও বিষয় সংযোজন বা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট পদ ও বিষয়ে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির কপি, নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশ ও ফল, গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন, নিয়োগ পত্র, যোগদান পত্র, পদবি ও বিষয় সংশ্লিষ্ট একাডেমিক ও পেশাগত সনদ, মাদরাসার হালনাগাদ শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা ও বেতন বিলের কপি, সংশোধন বিষয়ে গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন, প্রয়োজনীয় আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সত্যায়ন করে একত্রে জেলা শিক্ষা অফিসার বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে অধ্যক্ষ ও সুপারদের।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।