একই সঙ্গে চার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কলমাকান্দা আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার একজন সহকারী শিক্ষক। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে থেকে মো: শরিফুল ইসলাম নামের ওই শিক্ষকের চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এটাকে সরকারি চাকরি বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন হচ্ছে বলে মনে করছেন ওয়াকেফহাল মহল।
কলমাকান্দা আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ওই শিক্ষক ওই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অন্য যেসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন, সেগুলো হলো গফরগাঁও মহিলা কলেজ, দত্তের বাজার ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ এবং দি ফাদার অব নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ।
গফরগাঁও মহিলা কলেজে তিনি ইংরেজির প্রভাষক হিসেবে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর থেকে কাজ করছেন। দত্তের বাজার ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজেও তিনি ইংরজির প্রভাষক হিসেবে আছেন। ব্যানবেস জরিপে দেখা গেছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে তার নাম ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সদ্য জাতীয়করণ হওয়া দি ফাদার অব নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজেও ইংরজির প্রভাষক হিসেবে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দ হতে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু ব্যানবেস জরিপে দেখা যায়, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জরিপে মো. শরিফুল ইসলামের নাম অর্ন্তভুক্ত না থাকলেও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের জরিপে তার নাম অর্ন্তভু্ক্ত করা হয়েছে। এসব কলেজ থেকে তিনি শিক্ষক হিসেবে বেতন-ভাতা ,হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর , ক্লাস রুটিনে নাম অর্ন্তভুক্ত করে নিয়মিত ক্লাস, প্রাইভেট পরিচালনা, করোনা কালে শিক্ষকদের সরকারি অনুদানও গ্রহণ করে চলছেন ।
গত প্রায় ৬ বছর ধরে এই অবস্থা চলে আসলেও কোন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে, কোন শিক্ষক/কর্মচারী নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে বেতনসহ অথবা বিনা বেতনে কোন কাজ করতে পারবে না। অথচ মো: শরিফুল ইসলাম এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চার প্রতিষ্ঠানেই বহাল থেকে দাপটের সাথে চাকরি করে যাচ্ছেন ।