সরাসরি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ঘোষণার পর এখন কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে মূল্যায়নের প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, যে শিক্ষার্থীরা জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল তারা এইচএসসিতেও জিপিএ ৫ পাবে। কিন্তু কেউ এসএসসিতে জিপিএ ৫ কিন্তু জেএসসিতে জিপিএ ৪ পয়েন্ট ৫০ পেল সেই শিক্ষার্থীর ফল এবার জিপিএ ৫ হবে না। তবে, জিপিএ ৪ পয়েন্ট ৫০ এর কম হবে না। আর বিষয় ভিত্তিক ফল নির্ধারণে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক ‘ম্যাপিং’ করা হবে। অর্থাৎ এই তিন পর্যায়ে যে বিষয়গুলোর মিল আছে সেগুলোকে একভাবে দেখা হবে।
এদিকে, গড় ফলের সিদ্ধান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা বিএম) শিক্ষার্থীদের ফল নির্ধারণ করা নিয়ে। এ পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দুটি সরাসরি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম বর্ষের ফল এরই মধ্যে প্রকাশিত হলেও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তাহলে এই শিক্ষার্থীদের ফল কি শুধু প্রথম বর্ষের ফলের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে, নাকি তাদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা বোর্ডের অধীনে নেওয়া হবে- তা নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোরাদ হোসেন মোল্লা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে, অটো পাসের ফলে নিজেদের লাভ-ক্ষতির হিসাব কষতে শুরু করেছেন পরীক্ষার্থীরা। নানা অঙ্ক কষছেন তারা। সবচেয়ে বেশি খুশি যাদের আগের দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ ৫ রয়েছে। যাদের কোনো একটি পরীক্ষার ফল খারাপ, তারা ভালো মানের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায়। সব শিক্ষার্থী পাস করায় নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়া নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। সন্তানদের সঙ্গে টেনশন করছেন অভিভাবকরাও।