এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। যদি আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি না মানা হয় তাহলে ১০ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তরা। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা পূর্ণাঙ্গ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পাঠ্যক্রম সিলেবাস, আইন এবং একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হলেও শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিরাট পার্থক্য বিরাজমান। অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী সবাই নামমাত্র ১ হাজার টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ঈদ বোনাস পান শিক্ষার ২৫ শতাংশ।
তারা বলেন, অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট থেকে প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ কেটে রাখলেও ৬ শতাংশের বেশি সুবিধা এখনও দেয়া হয় না এবং বৃদ্ধ বয়সে যথাসময়ে এ টাকা পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যান। অধিকাংশ শিক্ষক নিজ জেলার বাইরে চাকরি করেন, তাদের জন্য বদলি ব্যবস্থা চালু জরুরী।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। তাছাড়া বর্তমান সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা দিয়ে আসছেন।