এমপিওভুক্তিতে ঘুষ নেয়া শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তি না হওয়ার নেপথ্যে - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্তিতে ঘুষ নেয়া শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তি না হওয়ার নেপথ্যে

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

অনলাইন এমপিওভুক্তিতে শিক্ষকদের কাছ থেকে নিতেন ঘুষ। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও শিক্ষকদের হয়ারনি করতেন তিনি। উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। কিন্তু তার শাস্তি হচ্ছে না। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বলছে, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় কর্মরত থাকার সময়ের তার বিরুদ্ধে ওঠা ওইসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে তথ্য চাওয়া হলেও তা পাওয়া যায়নি। পাঁচ মাস আগে তথ্য চাওয়া হলেও অধিদপ্তর সে তথ্য দেয়নি মন্ত্রণালয়কে।

এ পরিস্থিতিতে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জরুরিভিত্তিতে তথ্য চেয়ে অধিদপ্তরকে তাগিদপত্র দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। বিভাগ থেকে গত ২৩ মার্চ এ তাগিদ পত্র পাঠানো হয়। গত বুধবার অধিদপ্তরে পৌঁছেছে। সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে ওই জরুরি তাগিদ পত্রের কপি এসেছে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা বিষয়ক শাখার উপসচিব আবু সাঈদ মো. ফজলে এলাহী স্বাক্ষরিত ওই তাগিদপত্রে বলা হয়, সুমানগঞ্জের শাল্লা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তির কাজে ঘুষ নেয়া, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলাদা আলাদাভাবে অভিযুক্তের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, কর্মস্থল, চাকরিতে যোগদানের তারিখ, বেতন স্কেল, আহরিত বেতনভাতা ও ইমেইল ঠিকানা উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট খসড়া অভিযোগ নামা ও অভিযোগ বিবরণীসহ আলাদা ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছিলো ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ অক্টোবর। কিন্তু খসড়া অভিযোগ নামা ও অভিযোগ বিবরণী পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে অভিযোগ নামা ও অভিযোগ বিবরণীসহ আলাদা ব্যক্তিগত তথ্যসহ প্রতিবেদন বা পিডিএস পাঠানোর জন্য পুনরায় বলা হলো। 

জানা গেছে, অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো ওই চিঠিটি গত ২৯ মার্চ (বুধবার) পৌঁছেছে। সূত্র জানায়, মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কলেজ ও প্রশাসন শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

এদিকে অভিযোগের বিষয় মন্তব্য জানতে শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। 

রফিকুলের সহকর্মীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলছেন, তিনি আর শাল্লা উপজেলায় কর্মরত নেই। যোগাযোগ করা হলে তারা রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতেও চাননি। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.010362148284912