দেশের বিভিন্ন বেসরকার কলেজে কর্মরত অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা তাদের এমপিওভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত হতে না পেরে এসব শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সাড়ে পাঁচ হাজার অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে রংপুর শহরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকরা।
বুধবার (১০ নভেম্বর) রংপুর শহরের জি এল রায় রোডে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালকের মাধ্যমে উপাচার্যকে এমপিওভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, বেসরকারি কলেজগুলোতে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত সারাদেশের ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স মাস্টার্স শিক্ষক জনবলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার দীর্ঘ ২৯ বছর থেকে এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ বেতন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়না। অধিকাংশ কলেজে শিক্ষকরা নামমাত্র বা বেতনহীন অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। একই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেয়ে সরকারিকৃত কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকরা ক্যাডার ও নন-ক্যাডারভুক্ত হয়েছেন, ডিগ্রি ৩য় শিক্ষকরা জনবলে না থাকার পরেও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মাদরাসার কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হয়েছেন। অথচ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকগণ এনটিআরসিএ সনদধারী এবং সরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না।
এ বিষয়টিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে শিক্ষক নেতারা অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবি জানান। শিক্ষক নেতারা বলেন, বছরে ১৪৪ কোটি টাকা বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ রাখলে ৫ হাজার ৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব।
মানববন্ধনে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি মো. আবু সাঈদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হুদা সিদ্দিকীসহ অঞ্চলের বিভিন্ন কলেজের ননএমপিও অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। পরে শিক্ষকরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর অঞ্চলের পরিচালকের কাছে উপাচার্যকে দেওয়া স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর শিক্ষকরা জানান, আগামীকাল সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।