রংপুরের পীরগঞ্জের প্রায় ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিও ভুক্তির আগেই নিতে হচ্ছে অবসর।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্র ও সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষকদের বরাত দিয়ে জানাযায়-উপজেলার ৬টি কলেজ, ১টি কারিগরি কলেজ, ২২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১১টি দাখিল মাদ্রাসার অধিকাংশই ১৯৯৫-৯৬ইং সালে স্থাপিত হয়ে সরকারি স্বীকৃতিসহ সব শর্ত পূরণ করলেও অদ্যবধি এমপিও ভুক্তি হয়নি। এমপিও ভুক্তি না হওয়ায় অনেকে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাধ্য হয়ে দিনমজুর সহ অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। যারা কর্মরত আছেন তারা সরকার প্রদত্ত বেতন ভাতা না পেলেও এমপিও ভুক্তির আশায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করে আসছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় পঞ্চাশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ পাঠদান ও ভালো ফলাফল করেও কর্মরত ৬ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আবার অনেক শিক্ষক কর্মচারীকে আবার বেতন/ভাতা হওয়ার আগেই খালি হাতে চাকরি থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নন-এমপিও ভুক্ত নিয়োগ প্রাাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এমপিও এর আশায় আশায় অর্ধহার-অনাহারে শ্রম দিয়ে প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে আসছেন। পড়ালেখায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল ফলাফল করলেও ভাগ্যে জোটেনি কাংখিত বেতনের টাকা। বেতনের টাকা ভোগ না করেও মারা গেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষক-কর্মচারী। আগামী ৩-৫ বছরের মধ্যেই এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী অবসরে যাবেন। ইতিমধেই এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীগন দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও আর্থিক দুরবস্থার কারনে পরিবার পরিজনদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এমপিও ভুক্তি না হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে-পীরগঞ্জ মহাবিদ্যালয়, মহীয়সী বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজ, চতরা মহিলা কলেজ, আমোদপুর মহাবিদ্যালয়, কাদিরাবাদ মহিলা কলেজ, শানেরহাট টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, গোবর্ধাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একতার বাজার নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছাতুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, থিরারপাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গন্ধর্বপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড় বদনাপাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড়দরগা শাহ ইসমাইল গাজী (রহঃ) নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চক রাঙ্গামাটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুধিয়াবাড়ী আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঘাষিপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হরনাথ কানঞ্চগাড়ী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হরিণশিং বাজার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জলাইডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লছিমনপুর আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মেধাবিকাশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নখারাপাড়া আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পলাশবাড়ী আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
খালাশপীর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চৈত্রকোল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জ্যোতিডাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজিপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা, মহদিপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা, গন্ধর্বপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা, পালগড় দারুল ইহসান দাখিল মাদরাসা, পীরগঞ্জ বালিকা দাখিল মাদরাসা, ছোট উজিরপুর বালিকা দাখিল মাদরাসা, চেতনাপাড়া দাখিল মাদরাসা, শেরপুর দারুল ইসলাম দাখিল মাদরাসা শানেরহাট ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, হাসানপুর দাখিল মাদরাসা ও সুজারকুটি দাখিল মাদরাসা। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বঞ্চিত শিক্ষক-কর্মচারীগন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।