অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশন শুরু করবেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। আরও দুই থেকে তিন অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন তারা। এ সময়ের মধ্যে দাবী আদায় না হলে আরো কঠোর অর্থাৎ আমরণ অনশন শুরু করবেন তারা। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীরা। শীত উপেক্ষা করে রাতেও তারা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী (ডলার) দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সারাদেশে ৫ হাজারের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং এমপিও প্রত্যাশী। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘ ১৫ থেকে ২০ বছর যাবত বিনা বেতনে চাকরি করছেন। সেখানে শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা এক লাখেরও বেশি এবং ২০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন বলে দাবী করেছেন মাহমুদুন্নবী।
ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার মাওলানা গোলাম মোস্তফা খান মহিলা কলেজের প্রভাষক শাহ আলম সরদার দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, প্রায় সাত বছর যাবত পাঠদান করাচ্ছি বিনা বেতনে। আমরা এমপিও আদায়ের দাবিতে বারবার রাজপথে বসলেও দাবি আদায় হয়নি। অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে আমরা আবারও রাজপথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছি। অবস্থান কর্মসূচিতে দাবী আদায় না হলে আমরণ অনশন শুরু করবো এই প্রেসক্লাবের সামনেই।
শাহ আলম সরদার বলেন, নন-এমপিও এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই নিয়ম নীতিতে, একই কারিকুলামে, সিলেবাস ও প্রশ্ন পদ্ধতি একইভাবে অনুসরণ করা হয়। তাদের ও আমাদের নিয়োগ পদ্ধতিতেও কোনো পার্থক্য ছিল না, বর্তমানেও নেই; অথচ আমাদের এমপিও নামক অর্থনৈতিক মুক্তির ছোঁয়া নেই।
কর্মসূচিতে সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়সহ সারাদেশ থেকে আসা শত শত নন-এমপিও শিক্ষক এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।