এমসি কলেজে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তনের আবেদনে হাইকোর্টের ‘না’ - দৈনিকশিক্ষা

এমসি কলেজে ধর্ষণ: আদালত পরিবর্তনের আবেদনে হাইকোর্টের ‘না’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা পৃথক দুই আদালতে নয়, দুই অভিযোগের বিচার একসঙ্গে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলার বাদী, সাক্ষী ও বাদীপক্ষের আইনজীবীর নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো আসামির পক্ষে আইনজীবী না থাকলে তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। তবে ধর্ষণের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল থেকে অন্য আদালতে স্থানান্তর করতে মামলার বাদীর আবেদনে সাড়া দেননি হাইকোর্ট। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এক গৃহবধু সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। স্বামীকে বেঁধে রেখে ও মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ঐ রাতেই ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন। মামলায় এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গতবছর ৩ ডিসেম্বর সাইফুর রহমানসহ ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে আসামি করে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একটি ধর্ষণের অভিযোগে এবং অপরটি ছিনতাইয়ের অভিযোগে দেওয়া হয়। এরমধ্যে ধর্ষণের অভিযোগের মামলাটি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এ আদালতে গত ১৭ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আর ছিনতাইয়ের অভিযোগের মামলা সিলেট দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। এ অবস্থায় মামলার বাদীপক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়, দুটি মামলায় একসঙ্গে বিচার করতে। কিন্তু গত ২৪ জানুয়ারি এ আবেদন খারিজ করে দেয় সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর বাদীপক্ষ আদালত পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে।

এর আগে ওই গণধর্ষণের ঘটনায় যৌথ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ছাত্রাবাসের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কেরা, মূল ফটক, ৫ ও ৭ নম্বর ব্লকে দায়িত্বরত প্রহরীদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির

ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে। প্রতিবেদনে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করা হয়।

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039079189300537