সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে দাখিলকৃত ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি পৃথক অভিযোগপত্রের শুনানি একই দিনে চলমান রাখতে আবেদন দাখিল করলে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক তা নামঞ্জুর করেন। বিচারক মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) নির্ধারণ করেন।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এই আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে আলোচিত এই ঘটনায় সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম জানান, রোববার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল। তবে আলেচিত এই ঘটনায় শাহপরাণ থানা পুলিশ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে একটি চাঁদাবাজি ও অন্যটি ধর্ষণের ঘটনায়। দুটি অভিযোগপত্রে আসামিরা একই। ধর্ষণ মামলার সব কার্যক্রম শুরু হলেও চাঁদাবাজির দাখিলকৃত অভিযোগপত্রের কার্যক্রম এখন শুরু হয়নি।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী জানান, এমসি কলেজের ঘটনায় আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র (চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ) দাখিল করে পুলিশ। এই দুটি অভিযোগপত্রে আসামিরাও একই। একই দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দুটি অভিযোগপত্রের বিচার দ্রুত হওয়ার জন্য আমরা ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্রের সঙ্গে চাঁদাবাজি অভিযোগপত্রের কার্যক্রম একই আদালতে চলার জন্য পিটিশন দাখিল করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পিটিশন দাখিল করায় আদালতে আমরা সাক্ষী হাজির করিনি। আগামী তারিখে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব।