এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদকসহ গ্রেফতার পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুইদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফ, এসএম মনোয়ার আকিব ওরফে আনান, নাজমুস সাকিব, নাজমুল ইসলাম ও বিএম সিরাজুস সালেকীন ওরফে তপু। আসামিদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন। ৩১ মে আসামিদের পাঁচদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এলএসডি মাদকের সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২৬ মে রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি জব্দ করে ডিবি পুলিশ। এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব (রূপল), আসহাব ওয়াদুদ (তূর্য) ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আদিন আশরাফকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২০০ পিস এলএসডি জব্দ করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ মে রাতে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে এসএসডিসহ সাইফ, আনান ও সাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা থানার বারিধারা এলাকা থেকে নাজমুল ইসলাম ও বিএম সিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় এসআই মানসরুল করিম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুরকে কার্জন হল এলাকায় তার তিন বন্ধু এলএসডি সেবন করান। এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ডাব বিক্রেতার ভ্যানে রাখা দা নিয়ে তিনি নিজের গলায় আঘাত করেন। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আটদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তার লাশ অজ্ঞাতনামা হিসাবে পড়ে ছিল। পরে তার ভাই লাশ শনাক্ত করেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন