এলিনার মায়ের আর্তনাদ ও কিছু প্রশ্ন - দৈনিকশিক্ষা

এলিনার মায়ের আর্তনাদ ও কিছু প্রশ্ন

মাজহার মান্নান |

আজ আমি স্তব্ধ এক মানুষ। বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। গত দু’সপ্তাহ আগে এলিনা (আমার খালাতো বোন) ফোন দিলো। মাজহার ভাই কেমন আছেন। আমি বললাম নানা কারণে খুব একটা ভালো নেই। এলিনারও ভীষণ মন খারাপ। সপ্তাহ খানেক হলো এলিনার বাবা মারা গেছে হার্ট অ্যাটাকে। বাবার মৃত্যু শোক এখনো কেটে ওঠেনি। নানা ঝামেলায় ছিলো এলিনা। এলিনার একটি ছেলে সন্তান হয়েছে বিয়ের দীর্ঘ বছর পর। সম্ভবত ১০ বছর পর। ছেলেটি একটি জটিল রোগে আক্রান্ত। ছেলের ব্যাপারে আমাকে ফোন দিয়েছিলো। আমি ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই। সে অনুযায়ী ভিসা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। আমাকে বললো, ভাইয়া মার সঙ্গে (আমার খালা) একবার দেখা করবেন। প্রায় ৪০ মিনিট ফোনে কথা হয় এলিনার সঙ্গে। বড় ভাই হিসেবে এলিনা খুব ভরসা করতো আমাকে। এলিনা বাড়ি (রাজবাড়ি) গিয়েছিলো খালুর মৃত্যু পরবর্তী কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য। ছেলের ভিসা নিবে তাই ঢাকায় ফিরছিলো। এলিনা তার ফুপাতো বোন রত্না ও স্বামী বিপ্লবসহ (ইকবাল খান) রাজবাড়ি থেকে বেনাপল এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলো।

রত্না আর এলিনা একই ক্লাসে পড়তো। একই বাড়িতে এলিনার মার কাছে থাকতো। বিপ্লব রত্নাকে বিয়ে করেছিলো। বিপ্লব আমার সঙ্গে পড়তো। দারুণ বন্ধন আছে ওদের সঙ্গে আমার। কিন্তু কে জানতো এমন ভয়ানক দিন অপেক্ষা করছে তার জন্য। কে বা কারা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওরা যে বগিতে ছিলো সেই বগিতে। রত্না তার বাচ্চাকে বিপ্লবের কাছে দেয়। বিপ্লব জানালা দিয়ে লাফ দেয়। কিন্তু আগুনে বিপ্লবের শ্বাসনালী পুড়ে যায়। সে এখন বার্ন ইউনিটে ভর্তি। এলিনা রত্নার কাছে তার ছেলেকে দিয়েছিলো। রত্না দৌড়ে দরজা দিয়ে বের হয় কিন্তু তারও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। সেও বার্ন ইউনিটে ভর্তি। কিন্তু এলিনা আর বের হতে পারেনি। এলিনা ফোনে বলেছিলো যে সে আর বের হতে পারছে না। আগুনে শেষ হলো এলিনার সকল স্বপ্ন ও দেহ।

কী বলবো। ভাষাতো আমার ভান্ডারে নেই। যারা আগুন দিলো তারা কী পেলো? তাদের সঙ্গে কি এলিনার শত্রুতা ছিলো। মোটেও না। কেনো এলিনাকে এভাবে জীবন দিতে হলো। কোন রাজনীতির শিকার হলো সে? কোথায় আমরা তবে নিরাপদ? সত্যি কি ভালো আছি আমরা? আর কতো এলিনার জীবন দিতে হবে? কবে বদলাবে এই নোংরা সংস্কৃতি? কোনো রাজনীতি না করেও কেনো রাজনীতির বলি হলো এলিনা। আমার জানা মতে রাজনীতি নিয়ে এলিনার কোনো আগ্রহ ছিলো না। স্বামী সংসার নিয়েই তার যতো ভাবনা। তবুও কেনো তাকে অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হতে হলো?  কতোটুকু রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ পাবে এলিনা ও তার পরিবার? যে দুধের শিশু রেখে এলিনাকে চলে যেতে হলো তার দায়ভার কে নেবে? শিশুটি বড় হয়ে কী জানবে? দেশের প্রতি তার কতোটুকু শ্রদ্ধাবোধ জন্মাবে? এলিনার স্বামী কীভাবে সামলাবে সব কিছু? খালাকে দেখেছি কতো কষ্ট করে এলিনাকে বড় করতে। এলিনা খালার বড় সন্তান। কি করে খালা সইবে এ কষ্ট। কোনো দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হলে সেটা মেনে নেয়া হয়তো সহজ হতো। কিন্তু এই অগ্নিসন্ত্রাসীদের কি কোনো বিবেক নেই। তারা কী অর্জন করতে চায়। মানুষ পুড়িয়ে কারা স্বার্থ হাসিল করতে চায়? যে মানুষটি পুড়ছে তার কী অপরাধ? কেনো অন্যের স্বার্থের বলি হতে হবে এলিনাদের? নির্বাচন আসলেই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়। কিন্তু কেনো? নির্বাচনতো একটি আনন্দের বিষয়। নির্বাচনের দিন ঈদ উৎসবের মতো থাকে।

নির্বাচনের দু’সপ্তাহ আগে চায়ের কাপে ঝড় চলে অলিতে গলিতে। নির্বাচন হয়ে গেলো। এমপি ও মন্ত্রীবর্গ শপথ নিলেন। নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার শপথ তারা নিলেন। কিন্তু আমরা কি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারলাম? আমার সেটা মনে হয় না। নির্বাচন হয়ে গেলো। সরকার গঠিত হলো। কিন্তু রাজনৈতিক সংকট তো থেকেই গেলো। আর রাজনৈতিক সংকট যেখানে প্রকট সেখানে সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়টিও ঝুঁকিতে থাকে। এলিনার পরিবার কি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবে? তার পরিবার কি ভুলতে পারবে এই নির্মমতা? দেশের রাজনৈতিক সংকট অনেক গভীরে চলে গেছে। এটা থেকে আমাদের মুক্তি প্রয়োজন। নির্বাচন হয়ে যাওয়াই সকল সমাধান নয়। একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক সংস্কৃতি বড় প্রয়োজন। এলিনা জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেলো আমাদের আসলে নিরাপত্তা কতোটুকু? রাজনীতি এবং নাগরিক নিরাপত্তা গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সুস্থ রাজনীতি নাগরিক নিরাপত্তার প্রধান পরিমাপক। রুগ্ন রাজনীতি নাগরিক জীবনে সংকট তৈরি করতে পারে। এলিনার পরিবারের কষ্টটা কতো গভীরে তা পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তার ভস্মীভূত দগ্ধ লাশ শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। এলিনার সঙ্গে যারা ছিলো তাদের পক্ষেও এলিনাকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়ে শুধু যে এলিনার জীবন গেছে তা নয়। অনেকের জীবন হানি ঘটেছে। অনেকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। আগুনের লেলিহান শিখা কতো মানুষের স্বপ্নকে ছাই করে দিয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আজ দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। কিন্তু সেই তুলোনায় কি যোগাযোগ নিরাপত্তা বেড়েছে? বাস্তবতা দেখে সেটা মনে হয় না। এলিনার জন্য হয়তো দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলার লোক আছে। কিন্তু এলিনা যে নিষ্ঠুর বাস্তবতার বলি হলো সেটার দায় নেয়ার কি লোক আছে? সেটা নিয়ন্ত্রণের সদিচ্ছা কতোটুকু আছে আমাদের? দুঃখ প্রকাশ আর বিবৃতিদানের মধ্যেই কি সব সমস্যার সমাধান খুঁজবো আমরা? একজন সামান্য এলিনা মারা গেলে হয়তো রাষ্ট্রের তেমন কিছু যায় আসবে না। কিন্তু এলিনার পরিবার আর তার স্বজনদের দগ্ধ হৃদয়ের আর্তনাদ কি বন্ধ হবে? তারা কি ভুলতে পারবে এমন নিষ্ঠুরতা? এলিনার মায়ের ক্ষত হৃদয়কে কেউ কি পূর্ণতা দিতে পারবে? এলিনাকে পুড়তে হয়েছে কারো না কারো নোংরা ও বিকৃত স্বার্থের কারণে। এ স্বার্থ কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নয়। কারণ, এলিনার সঙ্গে কারো কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। সে একটি ঘাতক পরিবেশের বলি মাত্র। রাজনৈতিক স্বার্থ যখন মনুষ্যত্বকে হার মানায় তখন কোন এলিনা মরলো, কোন এলিনা বাঁচলো তাতে কি যায় আসে। একজন এলিনার মৃত্যু হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে দেশের জনগণকে নাড়া দেবে। কয়েকদিন সংবাদ পরিবেশিত হবে। তারপর জনগণ সেটা ভুলে যাবে। কিন্তু যে নির্মমতার শিকার সে হলো সেই নির্মমতার ইতিহাস কি ঘেঁটে দেখা হবে? সেটা থেকে কি পরিত্রাণের চেষ্টা করা হবে? বিষাক্ত রাজনীতির ছোবল কি সত্যি বন্ধ হবে? মানুষের মাঝে মানবিকতা কি সত্যি ফিরে আসবে? কি রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করে তারা যারা আগুন দিয়ে মানুষ মারে। দায় চাপানোর রাজনীতি বেশ পুরোনো একটি অভ্যাস। আর এই দায় চাপানোর প্রবণতার কারণেই প্রকৃত তদন্ত অনেক সময় সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রে সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। এলিনার পরিবার কি সত্যি বিচার পাবে? ধরে নিলাম বিচার পাবে। কিন্তু যে সংকটের কারণে এলিনার প্রাণ গেলো সেই সংকটের কি সমাধান হবে? সেই সংকটের সমাধান কি আসলেই সহজ? নাকি সংকট আরো ঘনীভূত হবে? নাগরিক মনে অনিশ্চয়তার জায়গাটি কি তবে থেকেই যাবে?

এলিনা বোন আমার, তোর জন্য এই অসহায় ভাইটি দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কি করতে পারবে? তার তো ক্ষমতা নেই, এই অপরাজনৈতিক সংস্কৃতিকে বন্ধ করার। পত্রিকায় দু কলম লিখে মনের কষ্ট কিছুটা শেয়ার করতে পারবো এটুকুই পাওয়া। আমি যখন এসএসসি পরীক্ষা দেই তখন তুই ৫ম শ্রেণিতে পড়তি। তোর আম্মার কাছে থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। খালা শরবত বানিয়ে তোর কাছে দিতো। ভাইয়া বলে ডেকে শরবতের গ্লাসটি আমাকে দিয়ে যেতিস। সেই স্মৃতি খুব দগ্ধ করছে আমাকে। মেনে নিতে পারছি না তোর চলে যাওয়া। তুইতো চলে গেলি। কিন্তু কী বার্তা দিয়ে গেলি? তোর দুধের শিশুর দায় কি রাষ্ট্র নেবে? রাষ্ট্র কি তার ভরণপোষণসহ সব দায় নেবে? যদি নেয় তবে সেটা বড় পাওয়া হবে। তোর নির্মম বিদায় অপরাজনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। আগুনে পুড়ে তুই ভস্মীভূত হয়েছিস। কিন্তু কীটে খাওয়া দগ্ধ লাশের চেহারার রাজনীতির কি সত্যি কোনো পরিবর্তন হবে? যারা অগ্নি সন্ত্রাস করলো তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই তাদের। সাধারণ নাগরিকরা রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝতে চায় না। তাদের বোঝার দরকারও নেই। তারা সুস্থ, স্বাভাবিক ও সুন্দর একটি জীবন নিয়ে বাঁচতে চায়। কঠোর পরিশ্রম করে আয় রোজগার করে তারা দিন পার করতে চায়। রাজনীতির জটিল অঙ্ক শেখার তাদের কোনো প্রয়োজন হয় না। তাদের যেটা প্রয়োজন হয় সেটা হলো নিরাপত্তার সঙ্গে চলাফেরা করা। ট্রেন ভ্রমণকে নিরাপদ ভ্রমণ হিসেবেই গন্য করা হয়। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করবে সেটাতো আরো বেশি আনন্দের। এলিনাদের বাড়ি রাজবাড়ি রেলস্টেশনের কাছেই। এলিনার বাবা রেলে চাকরি করতেন। এলিনার বাবার দীর্ঘ জীবন কেটেছে ট্রেনে। আর সেই ট্রেনে পুড়েই মরতে হল তার কন্যাকে। এলিনার বাবা মারা গেছেন তাই এমন বিভৎস অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তাকে হতে হয়নি। পদ্মা সেতু দিয়ে বহুবার যাতায়াত হয়েছে আমার। তবে ট্রেনে চড়ে যাওয়া হয়নি একবারও। এলিনা ফোনে বলেছিলো আমাকে, ভাইয়া ট্রেনে করে একবার আমাদের বাসায় আসেন। এলিনা আজ নেই। আমার খালার শূন্য বুকে কে একটু শান্তির পরশ এনে দেবে? তার বুকফাটা আর্তনাদ কি রাষ্ট্রের গহীনে পৌঁছাবে? এলিনার মা কি দেখে যেতে পারবেন তার কন্যার প্রাণের বিনিময়ে রাষ্ট্রের ভালো কিছু? আর কোনো অগ্নিসন্ত্রাস আমরা দেখতে চাই না। এসব সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের কাছে একটাই চাওয়া আর সেটা হলো এলিনা হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও এলিনার পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া।

লেখক: কবি ও কলামিস্ট 

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - dainik shiksha অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003371000289917