চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে এসএসসির প্রশ্ন তৈরি করা জেলায়-জেলায় পাঠানো হয়েছে। বিজি প্রেস থেকে ছাপা হওয়া প্রশ্ন জেলা প্রশাসকদের ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। শিগগিরই পরীক্ষার উত্তরপত্র পাঠানোর কাজ শুরু করবে ঢাকা বোর্ড। আগামী ১৯ জুন থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এসএসসির প্রস্তুতি শেষ। আমরা পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত। বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন তৈরি হয়ে জেলায় জেলায় চলে গেছে। প্রশ্ন জেলা প্রশাসকদের ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। উত্তরপত্রও পাঠানো শুরু হচ্ছে। সূচি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের সিলেবাসও আশা করি স্কুলগুলো শেষ করে ফেলেছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ১৯ জুন এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এসএসসির তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা শেষ হবে ৬ জুলাই। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসএসসিতে যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হবে সেগুলো হলো, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এবং কৃষি শিক্ষা। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগভেদে এসব বিষয় বিভাজন হয়। এসএসসিতে যে বিষয়গুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে তা হলো, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান বিভাগভেদে বিভাজন হয়। এসএসসি পরীক্ষার সময় হবে দুই ঘণ্টা। শুধু ইংরেজি প্রথম ও ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে। বাকি ব্যবহারিক সম্বলিত বিষয়গুলোতে ৪৫ নম্বর ও ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলেতে ৫৫ নম্বরে পরীক্ষা হবে।
প্রচলিতভাবে এসএসসির ফরম পূরণের আগে শিক্ষার্থীদের নির্বাাচনী বা টেস্ট পরীক্ষায় বসতে হলেও এ বছর তা নেয়া হয়নি। চলতি বছর চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে। আগামী ১৯ মে থেকে স্কুলগুলো এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নেবে। এ পরীক্ষার জন্য স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘অল্প কিছু’ ফি আদায় করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান। তবে, ঢালাওভাবে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বোর্ড।
প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা আয়োজনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নিতে পারবে কী-না জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, পরীক্ষা আয়োজনের একটা খরচ আছে, যেমন প্রশ্নপত্রের খরচ, উত্তরপত্রের খরচ। এ খরচ মেটাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘অল্প কিছু’ ফি আদায় করতে পারবে। পরীক্ষা আয়োজনের খরচ টুকু। কিন্তু ঢালাওভাবে অতিরিক্ত ফি নিতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার জন্য সামান্য কিছু ফি নিতে পারবে। তবে যেভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শতশত টাকা আদায় করা হয়, এটি তেমন হবে না। ফি হবে খরচ বাবদ খুব সামান্য। তবে, কেউ যদি শতশত টাকা দাবি করে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে তাহলে বোর্ডকে জানাতে হবে, বোর্ড ব্যবস্থা নেবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।