দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের শীর্ষ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি।
দ্রুত সংক্রমণশীল ভাইরাসটি বিদ্যমান টিকাগুলোর খুব একটা কার্যকর হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওমিক্রন শনাক্তের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। দেশটির ওপর দেয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে অবিচার আখ্যা দিয়ে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাত্রীদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতি উরসুলা ভন ডর লিয়েন বলেছেন নতুন এই ভাইরাসটিকে ভালোভাবে বুঝতে ও মোকাবিলায় টিকার ধরন বদলাতে পুরো বিশ্বকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে এর সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে টিকাপ্রয়োগের গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে।
তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। করোনার টিকা দেওয়া শুরু হলে এর সংক্রমণ ও মৃত্যু উভয়ই কমতে শুরু করে।