ঔপনিবেশিক আমলের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

ঔপনিবেশিক আমলের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীরা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দশ বছর পর এসে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাল্টে যাচ্ছে শিক্ষাক্রম। এর ফলে কমে যাবে বিষয় এবং পরীক্ষা। একই সঙ্গে পাল্টাবে পড়াশোনা ও মূল্যায়নের ধরন। পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে হবে দুদিন। এ সবের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন আসছে পঠন-পাঠনে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরিবর্তন শুরু হয়ে ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দ গিয়ে তা শেষ হবে। তবে বড় পরিবর্তন হয়ে যাবে ২০২৩ থেকে ২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শিক্ষাক্রমের খসড়া রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। শিক্ষাক্রমে এই পরিবর্তনকে যুগান্তকারী আখ্যায়িত করে বিশ্লেষকরা বলেছেন, এর মাধ্যমে দেশে ঔপনিবেশিক আমলের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য। 

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ১০২টি দেশের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা করে দেশে নতুন এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক, আনন্দময় এবং বিষয়বস্তুর চাপ কমানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি ও মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রাথমিকের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শুরু হবে নতুন শিক্ষাক্রম। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হবে। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে পুরো শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এর আগে, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়েছিল। সাধারণত পাঁচ বছর পরপর শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, করোনা ভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে যায়।

নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিশু শিক্ষার্থীদের বার্ষিক কোনো পরীক্ষায় বসতে হবে না। প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো পাবলিক পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক তথা এসএসসি ও সমমানের। এখন নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে পাবলিক পরীক্ষা হয়। শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান নাকি অন্য শাখায় পড়বে, সেটা ঠিক হবে একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে। এর আগে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সবাইকে অভিন্ন ১০টি বিষয় পড়তে হবে। বর্তমানে নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ বেছে নেয়ার কথা থাকলেও নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো বিভাগ বিভাজন থাকছে না। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা হবে, অর্থাৎ প্রতি বর্ষ শেষে হবে পাবলিক পরীক্ষা। আর এই দুই পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে এইচএসসির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের কাজটি আগামী বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তা সবার জন্য বাস্তবায়ন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে গিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে।

শিক্ষাক্রম ঘেঁটে দেখা গেছে, দশম শ্রেণির আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার কথা নেই প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় পঞ্চম শ্রেণির শেষে সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) এবং অষ্টম শ্রেণি শেষে জেএসসি পরীক্ষা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই এই পরীক্ষা দুটো বাতিলের কথা বলে আসছেন।

গতকালের বৈঠকে পিইসি এবং জেএসসি পরীক্ষার বিষয়ে উপস্থাপন করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মন্তব্যই করেননি। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা থাকছে কিনা- জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, প্রাথমিকে শেষে একটি সনদ পেল, ক্লাস এইট শেষে একটি সনদ পেল। তার মানে এই নয়, প্রত্যেক ক্ষেত্রে সনদ দিতে হবে। আমি যদি ক্লাস শেষ করি সেখানেও তো সনদ দেয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে। সনদের জন্য শিক্ষা নয়, পারদর্শিতা নিশ্চিত করতে চাই। অষ্টম ও প্রাথমিকে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলিনি, ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না এবং প্রতিটিতে সমাপনী পরীক্ষা হবে। সনদ দেয়ার জন্য পাবলিক পরীক্ষার দরকার নেই। পিইসি এখনো ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা, জেএসসি পাবলিক পরীক্ষা, বছর শেষে প্রতি ক্লাসে মূল্যায়ন হবে। দশম, একাদশ ও দ্বাদশে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলেছি, এইচএসসির পরীক্ষার রেজাল্ট হবে একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে।

জানতে চাইলে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারিক আহসান বলেন, পরীক্ষা দুটো থাকবে কিনা তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবে নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা দুটোর বিষয়ে না হওয়ার কথা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাক্রমে শিখনকালীন মূল্যায়নের কথাই বলা হয়েছে। অর্থাৎ ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ হবে। এই পরিবর্তনকে মাইলফলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের অঞ্চলে প্রায় ৩০০ বছরের শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন আসছে। অর্থাৎ ঔপনিবেশিক আমলের শিক্ষা থেকে মুক্তি। নতুন শিক্ষাক্রম বইনির্ভর ও মুখস্থ বিদ্যানির্ভর শিক্ষা হবে না।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালুর ফলে পড়াশোনায় বিদ্যমান সৃজনশীল পদ্ধতি থাকছে না। এর পরিবর্তে অভিজ্ঞতা বা দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা যুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে মূল্যায়নেও পরিবর্তন আসছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ জিপিএ পয়েন্ট ৫ এর পরিবর্তে চার করা হচ্ছে। পড়াশোনার নতুন পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষাক্রম অনুমোদন দেয়া হলেও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব একটা কথা বলা হচ্ছে না। অথচ গত ১০ বছরে সৃজনশীল পদ্ধতি বাস্তবায়নের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত ওই পদ্ধতি আয়ত্বে আনতে পারেননি অনেক শিক্ষক। এর ফলে সৃজনশীল পদ্ধতিও নোটগাইড নির্ভর হয়ে পড়েছিল। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার আগে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কীভাবে দেয়া হবে। যদি ঠিকঠাকমতো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ না দেয়া হয় তাহলে পড়াশোনার নতুন এই পদ্ধতিও সুফল বয়ে আনবে না।

জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, নতুন পদ্ধতিতে এখন যে অবস্থায় সৃজনশীল পড়াশোনা রয়েছে তা থাকবে না। নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকায় প্রশ্নের ধরনও পাল্টে যাবে। এর ফলে শিখন ও শিক্ষণ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসবে। এছাড়া নতুন পদ্ধতিতে পড়াশোনার অনেকটাই স্কুলে শেষ হবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ‘হোমওয়ার্ক’ কমবে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে এসএসসির আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষার কথা নেই। বর্তমান শিক্ষাক্রমেও নেই। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী এবং অষ্টম শ্রেণির শেষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষাটি হচ্ছে সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে। এই দুই পরীক্ষার বিষয়ে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষা প্রশাসন থেকে নতুন শিক্ষাক্রমের উপস্থাপনা করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী মূলত ৩টি বিষয়ে অনুশাসন দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও প্রাথমিকে একদিন ছুটি ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিকে শুধু সাপ্তাহিক ছুটি একদিন হবে কেন? প্রধানমন্ত্রীর ওই কথার পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সাপ্তাহিক দুদিন ছুটির সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার পর থেকে ছুটিও কার্যকর হবে। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে পাঠদানের বিষয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়ে বলেন, শ্রেণিকক্ষেই পাঠদান শেষ করতে হবে। হোমওয়ার্ক কম দিতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের মতো সময় কাটাতে পারে। পড়াশোনার বাইরে খেলাধুলা বা অন্যান্য বিষয়ের সুযোগ কমে গেছে, এটা যেন না হয়। জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের শিশু এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্কুলে ভর্তি করতে হবে। তারা যেখানে ভর্তি হতে ইচ্ছা প্রকাশ করবে সেখানেই ভর্তি করতে হবে বলে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

যেভাবে হবে মূল্যায়ন : সোমবার জাতীয় শিক্ষাক্রমের খসড়া রূপরেখা অনুমোদনসংক্রান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে এসে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয়েই ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে। এর ফলে এই শ্রেণিগুলোতে কোনো পরীক্ষা হবে না। নতুন শিক্ষাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে কিছু বিষয়ের ওপর পড়াশোনার সময় মূল্যায়ন হবে, কিছু বিষয়ের ওপর হবে বার্ষিক মূল্যায়ন। মোট নম্বরের ৬০ শতাংশ নম্বরের মূল্যায়ন হবে শ্রেণিকক্ষে, বাকি ৪০ শতাংশ নম্বরের মূল্যায়ন হবে বাষিক পরীক্ষায়। ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে ৬০ শতাংশ এবং ৪০ শতাংশ হবে সামষ্টিক মূল্যায়ন যার নাম হবে বার্ষিক পরীক্ষা। নবম ও দশম শ্রেণিতে কয়েকটি বিষয়ে শিখনকালে অর্ধেক মূল্যায়ন হবে এবং বাকি অর্ধেক সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩০ ভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং ৭০ ভাগ সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এই রূপরেখা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগে প্রাথমিক, মাধ্যমিক আলাদা আলাদা ছিল। একজন শিক্ষার্থী প্রাক-প্রাথমিকে ঢুকে মাধ্যমিকে যাচ্ছে। এ জন্য এক স্তর থেকে আরেক স্তরে যাওয়া যেন খুব মসৃণ হয়, মাঝে যেন ছেদ না পড়ে, অন্য স্তরে গিয়ে যেন খাপ খাওয়াতে কোনো সমস্যা না হয়, সেটি আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। পুরো শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হবে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, আনন্দময় পড়াশোনা হবে। বিষয়বস্তু ও পাঠ্যপুস্তকের বোঝা ও চাপ কমানো হবে। গভীর শেখনে গুরুত্ব দেয়া হবে। মুখস্ত নির্ভরতার বিষয়টি যেন না থাকে, এর বদলে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শেখাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে খেলাখুলা ও অন্যান্য কার্যক্রমকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

পড়তে হবে অভিন্ন ১০ বিষয় : জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সূত্রমতে প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০টি অভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হবে। এরপর একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শাখা পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হবে। বর্তমানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কিছু অভিন্ন বই পড়তে হয় এবং নবম শ্রেণিতে গিয়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা- এসব শাখায় ভাগ হয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত যে ১০টি বই পড়ানো হবে, সেগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম, স্বাস্থ্যশিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি। বর্তমানে এসব শ্রেণিতে ১২ থেকে ১৪টি বই পড়ানো হয়।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041220188140869