ময়মনসিংহের ত্রিশালের একটি আবাসিক মাদরাসায় ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল সালাম নামে এক কওমি শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের পর সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে ত্রিশাল থানা পুলিশ। এর আগে গত ২৫ জুলাই ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা অভিযুক্ত শিক্ষককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল সালাম (৩২) ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন দারুল কুরআন কওমি ক্যাডেট মাদরাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন প্রায় দু'বছর আগে। এই মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে সে এবং তার দুই স্ত্রী মাদরাসাটি পরিচালনা করছিলেন। মাদরাসায় জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ওই কিশোরী আবাসিক ছাত্রী হিসেবে লেখাপড়া করতো।
জানা গেছে, গত ৫ জুলাই গভীর রাতে কিশোরী মাদরারাসার একটি রুমে ঘুমাচ্ছিল। তখন শিক্ষক আব্দুল সালাম রুমে ঢুকে তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে, শিক্ষকের স্ত্রী মুক্তা বেগম পাশ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান ওই ছাত্রীকে। সেই ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডাক্তার ধর্ষিতা কিশোরীর চিকিৎসা সেবা দেন। কিছুদিন ঐ কিশোরীকে হেফাজতে রেখে একটু সুস্থ হলে কাউকে কিছু না বলতে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন শিক্ষক।
অসুস্থ কিশোরর শারীরিক গতিবিধি দেখে তার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে কিছু না বললেও পরে সব ঘটনা খুলে বলে ওই ছাত্রী। ঘটনা শোনার পর কিশোরীর মা গত ২৫ জুলাই ত্রিশাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিক্ষক আব্দুল সালামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ ওইদিন (রোববার) রাতেই মাদরাসা থেকে অভিযুক্ত সালামকে গ্রেফতার করে সোমবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শিক্ষক আব্দুল সালাম এর আগেও এমন ধরণের অনেক অপকর্ম করেছে। পরে ওইসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।