নতুন এই নীতিমালায় বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি সহজ করা হলেও কলেজ পর্যায়ে কঠিন করা হয়েছে বলে মনে করছেন ননএমপিও শিক্ষকরা। এ ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ পর্যায়ে এর ওপর আর কোনো পদোন্নতি নেই। এর আগের নীতিমালা দুটো করা হয়েছিল ২০১৮ ও ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে। কয়েক বছর ধরে শিক্ষকরা এমপিও নীতিমালা আরো সহজ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত (সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত) করতে হবে, কিন্তু তাঁদের সেই দাবির প্রতিফলন নতুন নীতিমালায় দেখা যায়নি বলে কোনো কোনো শিক্ষক বলছেন।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী, মাধ্যমিকে শহরে ৩০০ ও মফস্বলে ২০০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪৫০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ এবং ডিগ্রি (স্নাতক পাস) কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২০০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর পাসের হার হতে হবে ৭০ শতাংশ।
তবে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্বলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্বলে ৩২০, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্বলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পাসের হার স্তরভেদে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন এমপিও পেতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ এবং পাসের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে।
ননএমপিও শিক্ষক নেতারা মনে করছেন কলেজ এমপিওভুক্তি আগের চেয়ে কঠিন করা হয়েছে।
কলেজে কর্মরত প্রভাষকদের অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজের প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হলেও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ প্রভাষক চাকরির আট বছর পূর্ণ হলে পদোন্নতি পাবেন। একইভাবে ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকরা সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি পাবেন তাঁরা। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক বলে কোনো পদ থাকবে না বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।