চট্টগ্ৰাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি) উপাচার্য প্রফেসর ডা মো. ইসমাইল খান বলেছেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য চরম কোন ক্ষতির কারণ হবে। তবে, তিনি করোনার বিস্তাররোধে সবাইকে মাস্কপরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন।
রোববার ইউজিসি আয়োজিত ‘করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার প্রায় ১৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণ সর্দি, জ্বর ও কাশি হতে পারে। এতে, এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠতে ইতিবাচক মনোভাব, নিয়মিত শরীর চর্চা, সুষম খাবার গ্ৰহণ ও ওষধ সেবন করতে হবে। পাশাপাশি, আক্রান্ত ব্যক্তিকে হতাশ বা বিষন্ন না হওয়া, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলা এবং অনলাইন কার্যক্রমে অতিমাত্রায় সংযুক্ত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলা করতে স্ব্যাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, সবাইকে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করার ওপর জোর দেন। এছাড়া, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য যারা এখন পর্যন্ত কোভিড ডোজ গ্ৰহণ করেননি তাদেরকে তিনি দ্রুত টিকা নেয়ার এবং দুই ডোজ সম্পন্নকারীদের বুস্টার ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা সময়ে দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রিকভারি গাইড লাইন তৈরি, শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয়ে সফট লোন প্রদান ও স্বল্পমূল্যে ডাটা প্যাকের ব্যবস্থা করেছিলো ইউজিসি। এমনকি, সরাসরি ক্লাস শুরুর আগে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করে ক্লাস-ল্যাবগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ভবনগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. এ কে এম শামসুল আরেফিন, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা সহায়তা বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড ফখরুল ইসলাম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভুঁইয়া, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। ইউজিসি’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও এপিরর ফোকাল পয়েন্ট মো. গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক ও সিনিয়র সহকারি পরিচালক ও সমপর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।