প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশু কিনতে হাটে ভিড় করছেন মানুষ। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে ফিরছেন বাড়ি। এসব কারণে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। তাই করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পশু কিনতে গেলে হাটে জটলা করা যাবে না। মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে হবে। করোনার সব ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা দিতে পারে মাস্ক। করোনার শুরু থেকে যে স্বাস্থ্যবিধি শেখানো হচ্ছে তা ব্যবহার করতে হবে। হাত না ধুয়ে নাক-মুখ স্পর্শ করা যাবে না। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কয়েকদিন ধরে মৃত্যুহার ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতি মোটেই সুখকর নয়। এবার উৎসবের ঈদে সতর্কতা খুব জরুরি। কোরবানি মুসলমানদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। তবে কোরবানি করুন কিন্তু অপচয় নয়। করোনার কারণে লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে। নিম্নবিত্ত মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। তাই সামর্থ্য থাকলে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে নিয়ে বাঁচতে হবে, নিরাপদে থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা
ডা এ বি এম আবদুল্লাহ আরও বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা গেলে আরটিপিসিআর কিংবা আন্টিজেন্ট টেস্ট করতে হবে। জ্বর, কাশি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা হওয়া যাবে না। নিজের, পরিবারের এবং চারপাশের মানুষের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। দেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত টিকা সরকারের হাতে এসেছে।
৩৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে টিকা দেওয়ার বয়সসীমা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা। তাই ৩৫ বছরের বেশি নাগরিকদের বলব টিকা নিতে। টিকা নিলে করোনার ঝুঁকি এবং জটিলতা দুটোই কমবে। ঈদ করুন, কোরবানি করুন এবং অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন।দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন