দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে করানো ভাইরাস। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) নতুন করে ৫ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেছেন। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব জুড়ে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাসের নামে কেউ যেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দৈনিক শিক্ষায় পাঠানো সমিতির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সমিতির সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সারা মাস কাজ করার পর সামান্য বেতন ভাতা পান। তা থেকে আবার ১০ শতাংশ কর্তন করা হয়। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন। আবার শিক্ষক নেতাদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন করা হয়েছে।এ নিয়ে শিক্ষক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে আন্দোলন ও মামলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতার ইতিহাসে প্রথম শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০টাকা চিকিৎসা ভাতা পেয়ে শিক্ষকদের জীবন কোন রকম চলছে। শিক্ষকরা এমন এক পেশায় নিয়োজিত তারা নিজেদের দুঃখ বেদনার কথা কাউকে বলতে বা শেয়ার করতে পারেনা। সামান্য বেতনভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে এ মুহূর্তে আবার টাকা হলে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। কেউ কেউ এ কাজটি করে সরকারকে বিতর্কিত করতে চায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে করোনা ভাইরাস এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে ।বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমরা শিক্ষক সমাজ সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চয়ই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ আমাদের মারাত্মক ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন। তবে করোনা নাম দিয়ে কেউ যেন চাঁদাবাজি না করতে পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব মানবতার মা। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদেরকে কোন আদেশ দিলে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।’