চার মাসের মধ্যে গেল ৯ই সেপ্টেম্বর দেশে করোনায় সর্বনিম্ন ১৭ জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু পরদিন থেকেই সেই সংখ্যা আবারও বাড়তে থাকে।
সবশেষ মঙ্গলবারও মারা গেছে ২২ জন। এ নিয়ে করোনায় প্রাণ গেল ৫ হাজার ৫শ' ৭৭ জনের। তবে মোট সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঢাকা বিভাগেই বেশি। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আসন্ন শীতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম বিভাগের অবস্থা ছিল নাজুক। স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের নজরদারিতে ধীরে ধীরে কমতে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় প্রাণ গেছে তিনজনের। আর নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩শ ৩৯ জন।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মানুষের উদাসিনতা বাড়ায় সামনে পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিভাগের।
বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫শ ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১শ ৭৪ জন। গেল এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কম। ১০ ও ১১ই অক্টোবর ৪৯ জন শনাক্ত হলেও, কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই পরিসংখ্যানে সন্তুষ্ট নন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৪০৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩শ ১০ জনের। স্বাস্ব্যবিধি মানলে এই সংখ্যা আরও কমে আসবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
খুলনা বিভাগেও করোনা শনাক্তের হার নিম্নগামী। শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় নতুন করে ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন একজন। ২২ হাজার ৩শ ২৭ জন শনাক্তের মধ্যে মারা গেছেন ৩শ ৯০ জন। তবে মানুষের উদাসীনতায় পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের।