করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট রোধ করতে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তবে এ কারণে ভারতের বিভিন্ন স্কুলে অধ্যায়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরতে কোন সমস্যা হবে না। তাদের দেশে আসার প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে সহজ করা হবে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের এক সপ্তাহ পর এক পর্যালোচনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দফতরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের সেবা প্রদানের বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকার এবং এ বিষয়ে আরও কী করণীয় আছে তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে মাশফি বিনতে শামস বলেন, প্রায় ১০০টি বাচ্চার (শিক্ষার্থী) অভিভাবকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
ওইসব বাচ্চার অধিকাংশই দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন স্কুলে পড়ছে, ওই স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে বা যাচ্ছে। ফলে আমরা তাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শিশুদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেব। কিন্তু তাদের ১৪ দিনের কোয়ারারেন্টাইন করতে হবে। সীমান্ত বন্ধ ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত বেনাপোল দিয়ে ১২৬০ জনের মতো এবং আগরতলা দিয়ে প্রায় ৬০ জন দেশে প্রবেশ করেছে বলে তিনি জানান। বর্তমান পরিস্থিতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের যে ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে, সেটি যাতে বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি চিত্র পাব আশা করছি।