সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ছয়টি পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কমিটির সভায় এসব পরামর্শ দেয়া হয়। সভায় সভপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা।
কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে পুণরায় উদ্বুদ্ধ করতে সব প্রকার গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে। সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম বর্জন করা প্রয়োজন। ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানে (যেমন মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।
যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে তারাও অনেকে কোভিড টেস্ট করেছেন না এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না এবং এ কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। এ জন্য যাদের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং যারা কেভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসছেন তাদের টেস্ট করার জন্য অনুরোধ করতে হবে।
যেসব দেশে কোভিড-১৯ জীবানুর ভ্যারিয়েন্ট বা সাব ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের হার বেশি সেসব দেশ থেকে আমাদের দেশে আগত আক্রান্ত মানুষের মাধ্যমে প্রবেশ করছে বলে মনে করা হয়। এ জন্য বিমান, স্থল ও নৌ বন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ, টিকা সনদ আবশ্যক করতে হবে। বিশেষত: বেশ আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আগত যাত্রীদের জন্য। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করার ব্যবস্থা করতে হবে। সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ যারা এখনও নিতে পারেননি তাদের এটা নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী করতে হবে। ৫ থেকে ১২ বৎসরের শিশুদের ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে এনআইটিএজির পরামর্শ অনুসরণ করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চতুর্থ ডোজ অনুমোদন করলে তা বিবেচনা করতে হবে। কোভিড-১৯ এর ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করার জন্য সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা দরকার। ভ্যাকসিন পরবর্তী প্রতিরোধ ক্ষমতা কতদিন বজায় থাকছে যে সম্বন্ধে গবেষণা করা প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য যে বিশেষ শয্যা, আইসিইউ ব্যবস্থা ও জনবল ছিল, তা বর্ধিত হারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন।
জাতীয় পরামর্শক কমিটি বলছে, এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন হলে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করা যেতে পারে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।