শিক্ষার্থীদের সিলেবাস-লেখাপড়া বর্তমান শিক্ষাবর্ষের ফ্রেমে এগিয়ে নেওয়া খুব কঠিন হবে এই করোনাকালে। অর্থব্যবস্থার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই শিক্ষাবর্ষ ও অর্থবর্ষ নিয়ে ভাবা উচিত। শিক্ষাবর্ষ ও অর্থবর্ষ এপ্রিল-মার্চ করা হলে বাড়তি সুবিধাও পাওয়া যাবে। বাংলা সন পুরোটাই শিক্ষাবর্ষে-অর্থবর্ষে এসে যায়। মঙ্গলবার (২৩ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক টিঠিতে এ তথ্য জানা যায়। [ inside-ad]
টিঠিতে আরও জানা যায়, দ্বিতীয়ত, জুন মাস বর্ষাকাল। বরাবরই এই ভরা বর্ষায় দেখা যায়, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি—জনগণের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। একদিকে জলাবদ্ধতা, অন্যদিকে রাস্তা সংস্কারের মহাআয়োজন। এপ্রিল-মার্চ অর্থবর্ষ হলে এই সমস্যা লাঘব হবে। তৃতীয়ত, স্কুলের শিক্ষাবর্ষ [প্রথম-অষ্টম] জানুয়ারি-ডিসেম্বর। আবার এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্সের শিক্ষাবর্ষ জুলাই-জুন। মার্চ-এপ্রিল হলে সবার শিক্ষাবর্ষ এক হবে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাবর্ষ জানুয়ারি-ডিসেম্বর। নভেল করোনার কারণে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।
এ অবস্থায় তাদের শিক্ষাবর্ষ সমাপ্ত মাস ডিসেম্বরের বদলে মার্চে নিয়ে যাওয়া যুক্তিসঙ্গত। পরিশেষে, অর্থবছর ও শিক্ষাবর্ষ জুলাই-জুন ও জানুয়ারি-ডিসেম্বরের বদলে মার্চ-এপ্রিল করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক : মাহমুদ ইউসুফ, সদর, বরগুনা