করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা সঙ্কটে। সরকার দূরভাষণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করলেও সবার কাছে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা নিতে পারছে না। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও করুণ।
অনলাইনে ক্লাস এবং পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রাম ও মফস্বল শহরের শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। সোমবার আশুলিয়ার বাইপাইলে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা জেলার অষ্টম সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেনন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটা হিসাব বলছে, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলো অনলাইনে যে ক্লাস নিচ্ছে তাতে শতকরা চল্লিশ ভাগ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ও স্মার্ট ফোন না থাকার কারণে অংশ নিতে পারছে না। স্বাভাবিক শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইড তৈরি হয়েছে, যাতে সাধারণ ছাত্ররা তাদের শিক্ষাজীবন চালিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সঙ্কটে। এই অবস্থা দূর করে কোভিড উত্তরকালে শিক্ষার্থীরা যাতে বৈষম্য অতিক্রম করতে পারে সেজন্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে অবস্থান নিতে হবে। ছাত্র মৈত্রী সেখানে অতীতের মতো অগ্রণী ভূমিকা নেবে বলে আশা করছি।
ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা জেলার সভাপতি নাহিদ মোর্শেদ লিখনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম সুজন। উদ্বোধন করেন ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অতুলন দাস আলো।