মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এলেও ফের লকডাউনের মতো বিধি-নিষেধের চিন্তা আপাতত সরকারের নেই। সোমবার (২ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তগুলো জানান।
গতকালের বৈঠকে ২০২১ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন পেয়েছে। আসছে বছরে বাংলাদেশে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে আট দিন সরকারি ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে সাত দিনের ছুটি শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পড়েছে। সে হিসাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা প্রকৃত ছুটি উপভোগ করতে পারবেন ১৫ দিন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অবস্থা খুবই খারাপ। বেশির ভাগ দেশ লকডাউনে যাচ্ছে। ফ্রান্স লকডাউন দিয়েছে। অনুমতি ছাড়া বাসা থেকে বের হতে পারবে না। এগুলো বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমরা যেভাবে আছি, সেটা মোটামুটি স্বস্তির। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট থাকার সুযোগ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে বৈশ্বিক মহামারির বিপর্যয় থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন-অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। সেই সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০১৯-২০ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ‘গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্ট বোর্ড) আইন, ২০২০’ ও ‘উন্নয়ন বোর্ড আইনসমূহ (বিলুপ্তকরণ) আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।