করোনার প্রভাবে শিক্ষক এখন মাস্ক বিক্রেতা - দৈনিকশিক্ষা

করোনার প্রভাবে শিক্ষক এখন মাস্ক বিক্রেতা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি |

কাজী মো. আবু তাহের ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক। করোনায় আর্থিক টানাপোড়েনে রাস্তায় নেমেছেন তিনি। বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে হাটে-বাজারে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন মাস্ক। বর্তমানে মাস্ক বিক্রির টাকায় চলছে তার পাঁচ সদস্যের সংসার। গতকাল বুধবার দশমিনা উপজেলা সদরে পথচারী ও দোকানিদের কাছে মাস্ক বিক্রি করতে দেখা গেছে তাকে।

ফাজিল পাস শিক্ষক আবু তাহের (৩৫) পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের বাসিন্দা।  তিনি ২০০৯ সাল থেকে দশমিনা উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গাজী বাড়ি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় জুনিয়র মৌলভী পদে শিক্ষকতা করছেন। ওই মাদ্রাসায় এখনও সরকারি বেতন-ভাতা চালু হয়নি। শিক্ষকতার পাশাপাশি দশমিনা বাজারে চায়ের দোকানের উপার্জনের টাকায় সংসার চালাতেন তিনি। উপার্জনের একমাত্র পথ ওই চায়ের দোকান করোনার কারণে লকডাউনে বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন তিনি।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা

শিক্ষক আবু তাহের বলেন, ঢাকা থেকে পাইকারি মূল্যে মাস্ক কিনে বিক্রি করেন তিনি। প্রতি বক্সে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ থাকে। দৈনিক প্রায় ৩০-৪০ বক্স মাস্ক বিক্রি হয়।

উত্তর লক্ষ্মীপুর গাজী বাড়ি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জুনিয়র মৌলভী আবু তাহের। ছবি : সংগৃহীত

তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন প্রায় ১২ বছর। সরকারিভাবে কোনো বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষকতার পাশাপাশি চায়ের দোকান করে সংসার চালাতেন। করোনার প্রভাবে দোকানের পুঁজিও শেষ হয়ে গেছে। সংসারে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী, ছোট ছেলের বয়স দুই বছর। তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না, তাই বাধ্য হয়ে হেঁটে হেঁটে দশমিনা ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে মাস্ক বিক্রি করছেন। তিনি আরও বলেন, গত বছর সরকারি প্রণোদনার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে তালিকা দিয়েছেন; কিন্তু কোনো প্রণোদনা পাননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান, এবতেদেয়ি শিক্ষকদের প্রণোদনার তালিকা পাঠানো হয়েছে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034110546112061