ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় তিনটি বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসার শতাধিক ছাত্রীদের নিয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ সচেতনতামূলক কিশোরী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনায় সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শতাধিক ছাত্রী নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নামেমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে সমাবেশ আয়োজন করা হলেও গাদাগাদি করে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ছাত্রীরা মাস্ক ছাড়াই গান করে।
সকালে আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন এ সমাবেশের আয়োজন করে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অনুষ্ঠানের ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক ছাত্রীদের নিয়ে স্কুলটির হলরুমে গাদাগাদি করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতি বেঞ্চে চারজন করে শিক্ষার্থীকে বসানো হয়েছে। গাদাগাদি করে বসেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারাও। স্বাস্থ্য সচেতনতা অনুষ্ঠানের অন্যতম এজেন্ডা থাকলেও তা সঠিকভাবে মানা হয়নি। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে ছাত্রীরা মাস্কখুলে গান পরিবেশন করে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে সুমাইয়া আক্তার তন্নী ও সামিয়া রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার,উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার, মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিলকিস হাবিব,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস ,প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রহিম, অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইলিয়াছ মিয়া,সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর মিয়া,প্রধান শিক্ষক শহীদুল হক,কাজী আতাউর রহমান গিলমান,হাবিবুর রহমান শেখ,পৃথ্বীশ রঞ্জন পোদ্দার,ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আকতার হোসেন ভুঁইয়াযদিও সরকারের দেয়া স্কুল খোলোর প্রস্তুতির সরকারি নির্দেশনায়, স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের পর শিক্ষার্থীদের তিনফুট দূরে দূরে বসানোর কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ৫ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে দুইজন এবং এর কম দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসানোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
যেখানে সরকার করোনা সংক্রমণের ভয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না সেখানে উপজেলা প্রশাসনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা এমনি সরকারি ডাক্তারদের অংশগ্রহণে গাদাগাদি করে অনুষ্ঠান আয়োজন অভিভাবক মহলে সমালোচিত হয়েছে। অভিভাবকরা বলছেন, এভাবে অনুষ্ঠান আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। ছাত্রীরা করোনা আক্রান্ত হলে উপজেলা প্রশাসন দায় নেবে কিনা প্রশ্ন তুলেছেন তারা।