দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মামলা ও বিচারকার্য পরিচালনায় সুপ্রিম কোর্টের ২১ জন বিচারপতি, নিম্ন আদালতের ২৩১ জন বিচারক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার (১০ মে) বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের ২০০ জন ও অধস্তন আদালতের ৪৫৮ জন কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলা জজ পদমর্যাদার ১ জন বিচারক ও ৬ জন কর্মচারী মারা গেছেন।
তিনি জানান, বিচার বিভাগ দেশে আইনের শাসন বলবৎ রাখার লক্ষ্যে এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার্থে করোনাকালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে। ভয়াবহ অতিমারির এসময়ে দেশব্যাপী সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিচারিক দেওয়ানি-ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইবুনালসমূহে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন-জরুরি বিষয়সমূহ শুনানির পাশাপাশি নিষ্পত্তি করছে।
সাইফুর রহসান জানান, প্রধান বিচারপতির আদেশে বিগত ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালের দেয়া আদেশের ফটো-সার্টিফাইড কপি অতি স্বল্প সময়ে প্রদান করা হচ্ছে। যার কারণে মামলার পক্ষগণ খুব সহজে তা সংগ্রহ করে উচ্চতর আদালতে দাখিল করতে পারছেন।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ জুলাই হতে ৬ মে পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ১০ হাজার ৩ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের প্রত্যেক বেঞ্চে প্রতিদিন ১০০ জনের অধিক আইনজীবী শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াই ভার্চুয়ালি শুনানি করছেন। হাইকোর্ট বিভাগে প্রতিদিন ৫০০ টির বেশি ফৌজদারী আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে।
উল্লেখ্য করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গত বছরের মত চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ভার্চুয়ালি মামলা পরিচালনা করছেন বিচারক-আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা।