হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের মাহলুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সমীচিতা বড়ুয়ার পরিবার করোনা আক্রান্ত ছিলেন। পরে তিনিও করোনার নমুনা পরীক্ষা দিয়েছেন।
তারও করোনা পজেটিভ আসে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলমকে অবহিত করলে তিনি দুইদিন পর পর বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয় জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা এ নিয়ে শঙ্কিত।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী উপজেলার শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও প্রধান শিক্ষিকরা বলেন, সমীচিতা বড়ুয়ার পরিবার করোনা আক্রান্ত। তারপরও তাকে দুইদিন পর পর বিদ্যালয়ে আসার নির্দেশ দেওয়াটা হয়রানিমূলক। সেখানে আমাদের কোমলমতি শিশুরা পড়ে। তাদের নিয়ে এখন আমরা শঙ্কিত। অভিভাবকরাও বিষয়টি জেনে আমাদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
করোনা আক্রান্ত মাহলুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সমীচিতা বড়ুয়া বলেন, আমার স্বামী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। পরে ১২ সেপ্টেম্বর আমি করোনার নমুনা পরীক্ষা দেই। বিকেলে আমারও করোনা পজেটিভ আসে। তখন আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম। পরে চলে আসি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবেন না বলে জানান।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদা আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ধরনের কোনও নির্দেশনা দেননি বলে জানান। এরপর সহকারীকে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ওই সহকারী জানান, ম্যাডাম এমন কোনও নির্দেশনা দেননি। দিলে আমি জানতাম।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, যদি কোনও শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে তাকে বিদ্যালয়ে আসতে হবে না। এমনকি তার পরিবারের কেউ যদি আক্রান্ত হয়, করোনার রিপোর্ট দেখালেই তিনি ছুটি পাবেন। যদি কোনও শিক্ষক ছুটি না পায়, তাহলে বিষয়টি আমরা দেখবো। মাহলুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোনও অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বলেন, যদি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। তাহলে তার স্কুলে আসতে হবে না। যদি কাউকে স্কুলে আসতে বাধ্য করে তাহলে বিষয়টি দেখছি।