করোনায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ হাজার ৬৬৪ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ৮৩০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৯ জনে। বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ কোটি ৪০ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার।
২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যদিকে দৈনিক মৃত্যুতে এরপরই রয়েছে রাশিয়া-মেক্সিকো-ব্রাজিল।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি ৪০ লাখ ২১ হাজার ২৯১ জনে।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত চারমাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৬ মে ১৭ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭ হাজার ৪৮৭ জনে। একই সময় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৮ জন।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ হাজার ৫৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫১ জনে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।