পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার এক নারী কর্মচারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিশ আলী সিকদারকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে মাদরাসার ফাঁকা শিক্ষক মিলনায়তনে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই কর্মচারী। পরে ওই কর্মচারী জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে টেলিফোন করলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, ইদ্রিশ আলী সিকদার মঠবাড়ীয়া উপজেলার ছোট শৌলা গ্রামে মৃত হাশেম আলী সিকদারের ছেলে। এ ঘটনায় ওই নারী কর্মচারী ভান্ডারিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ভুক্তভোগী কর্মচারী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সোমবার দুপুরে মাদরাসা ছুটির পরে ফাঁকা শিক্ষক মিলনায়তনে ওই আয়া দরজা-জানালা বন্ধ করছিলো। তখন মাদরাসার অধ্যক্ষ ইদ্রিশ আলী সিকদার তাকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে মাদরাসার নৈশপ্রহরী আল আমিন খন্দকার ও পরিচ্ছন্নকর্মী নাঈম হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অধ্যক্ষের হাত থেকে তিনি রক্ষা পান। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অধ্যক্ষকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে আটকে রাখে।
আতরখালী ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক হারুন অর রশিদ, মো. শহিদুল ইসলাম, আবুল কালাম ফৌজদার, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো, জাকির হোসেন, নৈশপ্রহরী মো.আল আমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমের জানান, এক বছর আগে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মার্চ ওই অধ্যক্ষ এ মাদরাসায় যোগদান করেন। তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। তার বাবা হাসেম আলী সিকদার স্বাধীনতা বিরোধী একজন চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন।
ভান্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে আটক করা হয়। এছাড়া ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।