কর্মীদের জোরপূর্বক চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে ইভ্যালি - দৈনিকশিক্ষা

কর্মীদের জোরপূর্বক চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে ইভ্যালি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি তাদের কর্মীদের জোরপূর্বক চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইভ্যালির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের কয়েকজন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি তিন মাস ধরে পেছনের সারির কর্মীদের বেতন দেয়নি। যমুনা গ্রুপ ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করবে না—এমন খবর বের হওয়ার পর কর্মীদের ছাঁটাই করার প্রবণতা চলছে। ইভ্যালির এক কর্মী জানান, শেষ খবর (আপডেট) পাওয়া পর্যন্ত কম্পানিটিতে এক হাজার ৮০০ জন কর্মী কাজ করতেন। তবে বর্তমানে  কতজন কাজ করছেন সেটি তাঁর জানা নেই। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইভ্যালি চায় তাদের কর্মীরা নিজ থেকেই পদত্যাগপত্র দিক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইভ্যালির এক কর্মকর্তা  বলেন, গত দুই মাসের বেতন তিনি পাননি। বিনা বেতনে কাজ করছেন। এ মাসেরটা না পেলে তিন মাসের বেতন বকেয়া হবে। কম্পানির বেতন দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় এর মধ্যেই কর্মী ছাঁটাই শুরু করছে। এ ব্যাপারে তিনি শঙ্কিত।

এ বছরের শুরুতে ইভ্যালির একটি বিভাগে যোগ দেন মাসরিকুল আলম (আসল নাম নয়)। কয়েক মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা মাসরিকুলকে শিখিয়ে দেন যে গ্রাহককে বলতে হবে সময়মতো তারা পণ্য পেয়ে যাবে। পণ্যটির শেষ আপডেট কী কিংবা এসংক্রান্ত তথ্য মাসরিকুলকে দিত না ইভ্যালি। কিন্তু তাঁকে অনবরত গ্রাহককে বলতে হতো, ‘পণ্যটি সময়মতো পেয়ে যাবেন।’ গত কয়েক মাসে ইভ্যালি তাঁকে বেতন দেয়নি। এ জন্য তিনি চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘বাসা থেকে অফিসে যাওয়া-আসা করতেও তো খরচের প্রয়োজন হয়। আবার ইভ্যালি নিয়ে সমাজের নানা জায়গায় সমালোচনার ঝড় বইছে। সব দিক থেকে বিবেচনা করে চাকরিটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। টাকা ছাড়া তো আর কাজ করা যায় না।’

কর্মী ছাঁটাই বিষয়ে গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। তাঁর কথায়, ‘আমরা গ্রাহক, সাপ্লায়ারসহ সবার কাছে সময় চেয়েছি যেন বিনিয়োগ সংগ্রহ করে ইভ্যালির পূর্ণ শক্তি ফেরত আনতে পারি। এই সময় বেতন পেতে বিলম্ব হতে পারে, সেই কথা শুরুতেই কর্মীদের বলা ছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে। দোয়া রাখবেন।’

বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি তাদের কর্মীদের জোরপূর্বক চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইভ্যালির সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের কয়েকজন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি তিন মাস ধরে পেছনের সারির কর্মীদের বেতন দেয়নি। যমুনা গ্রুপ ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করবে না—এমন খবর বের হওয়ার পর কর্মীদের ছাঁটাই করার প্রবণতা চলছে। ইভ্যালির এক কর্মী জানান, শেষ খবর (আপডেট) পাওয়া পর্যন্ত কম্পানিটিতে এক হাজার ৮০০ জন কর্মী কাজ করতেন। তবে বর্তমানে  কতজন কাজ করছেন সেটি তাঁর জানা নেই। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইভ্যালি চায় তাদের কর্মীরা নিজ থেকেই পদত্যাগপত্র দিক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইভ্যালির এক কর্মকর্তা বলেন, গত দুই মাসের বেতন তিনি পাননি। বিনা বেতনে কাজ করছেন। এ মাসেরটা না পেলে তিন মাসের বেতন বকেয়া হবে। কম্পানির বেতন দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় এর মধ্যেই কর্মী ছাঁটাই শুরু করছে। এ ব্যাপারে তিনি শঙ্কিত।

এ বছরের শুরুতে ইভ্যালির একটি বিভাগে যোগ দেন মাসরিকুল আলম (আসল নাম নয়)। কয়েক মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা মাসরিকুলকে শিখিয়ে দেন যে গ্রাহককে বলতে হবে সময়মতো তারা পণ্য পেয়ে যাবে। পণ্যটির শেষ আপডেট কী কিংবা এসংক্রান্ত তথ্য মাসরিকুলকে দিত না ইভ্যালি। কিন্তু তাঁকে অনবরত গ্রাহককে বলতে হতো, ‘পণ্যটি সময়মতো পেয়ে যাবেন।’ গত কয়েক মাসে ইভ্যালি তাঁকে বেতন দেয়নি। এ জন্য তিনি চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘বাসা থেকে অফিসে যাওয়া-আসা করতেও তো খরচের প্রয়োজন হয়। আবার ইভ্যালি নিয়ে সমাজের নানা জায়গায় সমালোচনার ঝড় বইছে। সব দিক থেকে বিবেচনা করে চাকরিটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। টাকা ছাড়া তো আর কাজ করা যায় না।’

কর্মী ছাঁটাই বিষয়ে গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। তাঁর কথায়, ‘আমরা গ্রাহক, সাপ্লায়ারসহ সবার কাছে সময় চেয়েছি যেন বিনিয়োগ সংগ্রহ করে ইভ্যালির পূর্ণ শক্তি ফেরত আনতে পারি। এই সময় বেতন পেতে বিলম্ব হতে পারে, সেই কথা শুরুতেই কর্মীদের বলা ছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে। দোয়া রাখবেন।’

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051000118255615