নাটোরের সিংড়ায় পৌর ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পৌর ছাত্রলীগের স্কুলবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাফসানসহ ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীর এ হামলায় ছিলেন বলে আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সহক্রীড়া সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও নাইম হোসেন। তাঁরা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দুজনই ওই কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির সদস্য। নাইম হোসেনকে নাটোর সদর হাসপাতালে এবং শফিকুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সিংড়া থানা ও গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজছাত্র সংসদ সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা দুইটার দিকে শফিকুল ইসলাম ও নাইম হোসেন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পৌর ছাত্রলীগের স্কুলবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাফসানসহ ছাত্রলীগের সাত নেতা–কর্মী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা তাঁদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
মেহেদী হাসান রাফসান পৌর ছাত্রলীগের স্কুলবিষয়ক সম্পাদক। তবে তাঁদের এই অন্যায় হামলার দায় সংগঠন নেবে না। তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমার কোনো আপত্তি নাই।
বণী ইসরাইল, সিংড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থী ও পথচারীদের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও কেউ বাধা দিতে পারেননি। পরে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিলে পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) সজীব ইসলাম বলেন, ‘মেহেদী হাসান রাফসানের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কলেজের নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
সিংড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি বণী ইসরাইল বলেন, মেহেদী হাসান রাফসান পৌর ছাত্রলীগের স্কুলবিষয়ক সম্পাদক। তবে তাঁদের এই অন্যায় হামলার দায় সংগঠন নেবে না। তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তাঁর কোনো আপত্তি নাই।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত।