কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - দৈনিকশিক্ষা

কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: ঘুষ নেওয়ার ভাইরাল ভিডিওতে নাম আসা ঢাকা স্টেট কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও দৈনিক সমকালের শিক্ষা সাংবাদিক সাব্বির নেওয়াজকে বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে সাংবাদকিতার প্রভাব খাটিয়ে সরিয়ে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কলেজটি পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন সাব্বির নেওয়াজ।

নাম প্রকাশে অনিচচ্ছুক কলেজটির একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর শিক্ষা সনদ দিয়ে ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে চাকরি নেওয়া সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ দিলওয়ারা ইসলামের বিরুদ্ধে ছিলো বিস্তর অভিযোগ। সাংবাদিকের সহায়তায় সেই সনদ দিয়েই তিনি দিব্যি চাকরি করেছেন বছরের পর বছর। এমনকি বয়স ৬০ বছর হওয়ার পর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাগিয়ে চাকরি করছেন। নতুন ইনডেক্সে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত হওয়ারও অভিযোগ ছিলো দিলওয়ারার বিরুদ্ধে।

শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এক নথিতে দেখা যায়, স্থানীয় সাংসদ সাদেক খানের কাছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। এছাড়া অভিভাবক প্রতিনিধি পদের জন্য নিয়মিত নির্বাচন না দিয়ে পছন্দ মতো পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও অভিযোগ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এছাড়া পরিচালনা কমিটিতে মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়নে শিক্ষা অধিদপ্তরের কলেজ শাখার একজন নারী সহকারী পরিচালক (যিনি সাব্বিরের বোন পরিচয় দিতেন) সাথে যোগসাজশে কাজ করার অভিযোগ ছিলো। 

শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিভাবক প্রতিনিধি মিজানুর রহমান তালুকদারের করা লিখিত অভিযোগে বলা হয়, চাকরির জন্য জমা দেয়া শিক্ষা সনদগুলোতে রয়েছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। পাকিস্তানের সারাগোদা শিক্ষাবোর্ড থেকে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি ও ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে এইএচএসি পাস দেখানো হয়। কিন্তু কোন কলেজ থেকে পাস করেছেন তার উল্লেখ নেই। দিলাওয়ারার জন্ম ১ অক্টোবর ১৯৫৬ এবং এসএসসি পাস ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে। সে হিসেবে ১৩ বছর বয়সে এসএসসি পাস করেছেন; যা প্রশ্নবিদ্ধ।

অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ইডেন কলেজ থেকে নিয়মিত ছাত্রী হিসেবে বিএ পাস করেন। যা সম্ভব নয়। কারণ, উচ্চ মাধ্যমিকের পর ৭-৮ বছর শিক্ষাবিরতি থাকলে নিয়মিত ছাত্রী হওয়ার কথা নয়। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের তথ্য গোপন করে তিনি ইডেন কলেজে ভর্তি হয়েছেন বলে সন্দেহ অভিযোগকারীর।

১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা স্টেট কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। প্রভাব খাটিয়ে তিনি ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন অধ্যক্ষকে সরিয়ে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পরে নিয়মিত অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। তার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

২০০১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে দেশে ফিরে অধ্যক্ষ পদ ফিরে পাওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪২তম সভায় দিলাওয়ারাকে চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়ে কিছুই করণীয় নেই মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের জুনে তিনি জোরপূর্বক অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত এবং অবৈধভাবে নতুন ইনডেক্স নিয়ে এমপিওভুক্ত হন।

মতামতের জন্য সাব্বির নেওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। 

সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ - dainik shiksha শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036749839782715