বরিশালে বৃদ্ধ মাকে শারীরিক নির্যাতনের পর বাসা থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ শিক্ষক মেয়ের বিরুদ্ধে। দুই বোনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দখল পাকাপাকি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় তাকে ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল সকালে নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বৃদ্ধ মাকে নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো প্রতিকার পাননি বৃদ্ধা। নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার নাম রিজিয়া বেগম (৬৫)। তিনি ওই এলাকার মৃত হাসেম গাজীর স্ত্রী। তার চার মেয়ে এবং দুই ছেলে। অভিযুক্ত নির্যাতনকারী বৃদ্ধার বড় মেয়ে উম্মে সালমা ফেরদৌসি ঝালকাঠি ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক এবং ঝালকাঠির কুমারপট্টি এলাকার আবু সাঈদ খানের স্ত্রী। নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধা জানান, তার কানাডা প্রবাসী মেয়ে দেলোয়ারা বেগম কাজীপাড়ায় জমি ক্রয় করে একতলা ভবন নির্মাণ করে তাকে থাকতে দিয়েছে।
বড় মেয়ে উম্মে সালমা ফেরদৌসি পাশেই এক শতাংশ জমি কিনে ওই বাসায় বসবাস করছে। ধীরে ধীরে বড় মেয়ে ওই ভবনের মালিকানা দাবি করছে। বাড়ি দখলের জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর বড় মেয়ে ফেরদৌসি তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। স্থানীয়দের সহায়তায় ফের ঘরে ওঠেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের বিচার না হতেই গতকাল সকালে ফের তাকে ঘর থেকে বের করে দেয় ফেরদৌসি।
বৃদ্ধা রিজিয়া বেগম অভিযোগ করেন, গতকাল সকালে তিনি দুপুরে রান্নার জন্য তরকারি কাটছিলেন। এ সময় বড় মেয়ে ফেরসৌসি তাকে ঠেলা-ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি একটি চেয়ার নিয়ে ঘরের সামনে বসেছিলেন বলে জানান তার ছোট ছেলে মো. মিজান গাজী।
তবে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বড় মেয়ে উম্মে সালমা ফেরসৌসি। ভাই-বোনরা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, মাকে নির্যাতনের ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
