কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ডিগ্রি কলেজের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে। করোনা মহামারিতে অনেকটা গোপনে এ গাছগুলো কাটা হয়। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন গিয়ে কেটে ফেলা গাছের গুড়িগুলো দেখা যায়।
কলেজের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কলেজের আবাদী জমিতে রোপন করা ৪টি ইউকেলিপ্টাস ও দক্ষিণ দিক থেকে ১টি ঔষধি গুণসম্পন্ন বড় অর্জুন গাছ কাটা হয়েছে। এ গাছগুলো স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অধ্যক্ষের এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
কলেজসূত্রে জানা গেছে, গাছগুলো কাটার বিষয় কোন সভায় আলোচনা হয়নি। হয়নি কোন প্রকার রেজুলেশন। শিক্ষকরা বলছেন, অধ্যক্ষের একক সিদ্ধান্তে এ গাছগুলো কাটা হয়েছে।
কলেজের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গাছ কাটার সময় অধ্যক্ষ তাদের জানননি। তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে গাছ কাটার বিষয়টি তারা জানতে পারেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চরশৌলমারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কলেজের গাছগুলো বর্গাচাষী কেটে বিক্রি করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নিয়ম অনুসারে তারা পরিচর্যা করেছে তাই তারাই কেটেছে। এখানে আমি কোন টাকা লেনদেন করিনি।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ সভাপতি মো. আল ইমরান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গাছ কাটার বিষয় আমি কিছুই জানি না। তবে এখনই খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।