মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই দেশের কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে কারিকুলাম পরিবর্তন, শিল্পের চাহিদা অনুসারে কার্যকর ও বিষয়ভিত্তিক কোর্সের সংখ্যা বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। তবে এখনো দেশের কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশন ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা এফইএসর যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন : জার্মানির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা' শীর্ষক পলিসি পেপার উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে পলিসি পেপার উপস্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলীলী।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি বলেন, বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে আন্তরিক। বর্তমানে ৬৪টি জেলায় সরকারের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকার প্রথম ধাপে ১০০টি উপজেলায় এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩২৯টি উপজেলায় তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে বিদ্যমান সব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ভালো নয় স্বীকার করে তিনি বলেন, এজন্য দেশের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে রেটিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই জাতীয় মান কাঠামো অনুসরণ করে মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করারও আশ্বাস দেন তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শিল্প মালিকদের চাহিদা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারিক্যুলামের মধ্যে এখনো অনেক দূরত্ব রয়ে গেছে। খরচ কমাতে শিল্প মালিকরা যেমন দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ দিতে চাননা, তেমনি কারিগরি শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে এবং শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে প্রয়োজন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ ও ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানো।