কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর পাঁচটি ইউনিয়নের কিছু এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা ও বোরো ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তবে, ঝড়ে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার ভোরে ভুরুঙ্গামারী সদর, পাইকেরছড়া, চর ভুরুঙ্গামারী, শিলখুড়িসহ বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলে ঝড়ের তাণ্ডব। কালবৈশাখী তাণ্ডবে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, গাছপালা, বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছ উপড়ে তারের ওপর পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্ভোগে রয়েছেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
পাইকেরছড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম, রব্বানী, জলিলসহ অনেকে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভোররাতে হঠাৎ তার পাইকেরছড়া গ্রামে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত শুরু হয়। অনেকের বসতঘর ভেঙে গেছে। বেশ কিছু বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও এলাকার কয়েকটি স্থানে গাছ বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ উপড়ে পরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আবু সাহাদাত মো. বজলুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভোররাত চারটার দিকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ওয়ার্ডের ২০-২৫টি পরিবারের বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে। ঝড় ও বৃষ্টিতে অন্তত ১০০ একর জমির পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান পড়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। ঝড়ে আমার বাড়ির দুটি ঘরসহ গাছপালা ভেঙে গেছে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভোররাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ইউনিয়নের প্রায় ১০০ পরিবারের বসতবাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও দেড়শ থেকে দুইশ একর জমির বোরো ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় সেগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন হওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ঝড়ের বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে।
চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান এ টি এম ফজলুল হক জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তার দুটি বসতঘর ভেঙে গেছে। একটি ঘরের চাল উড়ে গেছে, এখনো খুঁজে পাননি। এছাড়াও ইউনিয়নের আনুমানিক ৫০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তসহ গাছপালা ভেঙে পরেছে।
এ বিষয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার মুঠোফোনে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।