কীটনাশক দিয়ে অর্ধশত তালগাছ মেরে ফেললেন শিক্ষক - দৈনিকশিক্ষা

কীটনাশক দিয়ে অর্ধশত তালগাছ মেরে ফেললেন শিক্ষক

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি |

নিজের লাগানো আমগাছ রক্ষার জন্য সড়কের অর্ধশত তালগাছ কীটনাশক প্রয়োগ করে মেরে ফেলেছেন এক শিক্ষক। 

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের হাট বাইগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও করখণ্ড দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি হাটগাঙ্গোপাড়া-ভবানীগঞ্জ রোডের হাট বাইগাছা এলাকায় সড়ক ঘেঁষে ২৭ বিঘা জমিতে একটি দীঘি খনন করেন। ওই দীঘির পাড়ে তিনি বিভিন্ন জাতের কিছু আমগাছের চারা রোপণ করেন। শাহরিয়ার আলমের লাগানো আমগাছের পাশেই আগে থেকে লাগানো সারিবদ্ধ তালগাছ ছিল। প্রায় একযুগ আগে তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন এবং স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি হাট বাইগাছায় সড়কের উভয় পাশে আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতাধিক তালগাছ লাগিয়েছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, তালগাছগুলোর ছায়ার কারণে শাহরিয়ার আলমের লাগানো আমগাছগুলো বড় হয়ে উঠতে সমস্যা হচ্ছিল। এ কারণে শাহরিয়ার আলম তার নিজের লাগানো আমগাছগুলো দ্রুত বড় করে তোলার জন্য প্রথমে তালগাছগুলোর বাকল কেটে দিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করেন। এরপর সেই ক্ষতস্থানে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। এতে তালগাছগুলো বর্তমানে শুকিয়ে মরে যেতে শুরু করেছে। 

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নিজের লাগানো আমগাছ রক্ষার জন্য নিজেই এ কাজ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন শাহরিয়ার আলম। 

এদিকে শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, শাহরিয়ার আলম আওয়ামী লীগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদের একজন ব্যক্তি এবং পেশায় তিনি শিক্ষকও বটে। কাজেই একজন শিক্ষক হিসেবে তার এ কাজ করা মোটেই ঠিক হয়নি।

শনিবার বাগমারা উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, সড়কটি এলজিইডির। তবে তালগাছগুলো কে লাগিয়েছেন তা আমি জানি না। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039210319519043