কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিষ্কারকৃত শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে কুবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের এম এম এস ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ এম নূর উদ্দীনকে একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুরের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর দাবি তিনি এ কাজে জড়িত নন। উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া তার বহিষ্কার মানেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তারা।
মানববন্ধনে দুই দফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এতে উল্লেখ করা হয়, দ্রুত এ এম নূর উদ্দীনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং একাত্তর টিভির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মানহানির মামলা দায়ের করতে হবে, তা না হলে শিক্ষার্থীরা মামলা দায়ের করবে।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তদন্ত কমিটি কর্তৃক সুস্পষ্ট কোনো তথ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি কাজ। প্রশাসন অবশ্যই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে। তাই আমরা দুই দফা দাবি করেছি, দাবি পূরণ না হলে আমরা সাধারণ শিক্ষাথীরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
গত ১৩ জুন রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইট সংলগ্ন এটিএম বুথের সামনে একাত্তর টিভির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ এম নূর উদ্দীনকে ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাময়িক বহিষ্কার করে।