কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ক্যাম্পাসের বাঁশ উধাও - দৈনিকশিক্ষা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধিত ক্যাম্পাসের বাঁশ উধাও

কুবি প্রতিনিধি |
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বর্ধিত ক্যাম্পাসের জন্য নির্ধারিত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের রাজারখলা-চৌধুরীখলা এলাকার জায়গার গাছ, বাঁশ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতার পরিচয়ে কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময় নোটিশ দিয়ে ও মাইকিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা থেকে গাছ-বাঁশ কাটতে নিষেধ করা হয়। পাশাপাশি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। তারপরও রাতের আঁধারে এসব জায়গা থেকে বাঁশ-গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে কে বা কারা।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন (যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি বিক্রি করেছেন) জানান, যারা গাছ-বাঁশ কাটতে আসেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর পরিচয় দেন।
 
এক জমির মালিক বলেন, ‘দেড় বছর হচ্ছে আমার জমি অধিগ্রহণে পড়েছে। কিন্তু এখনো টাকা পাইনি। আবার আমরা জমির কোনো গাছ-বাঁশ আনতে পারি না। কিন্তু নেতাদের নাম দিয়ে ঠিকই কেটে নিয়ে যায়। এখানে জোর যার মুল্লুক তার।’
 
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী, তার ভাই সরওয়ার এবং আমার নাম ব্যবহার করে কিছু স্বার্থান্বেষী প্রতারক চক্র এসব কাজ করছে। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে জানাব।’
 
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলেই প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেব। তবে অল্পবিস্তর কিছু অভিযোগ পেয়েছি, যার সাথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।’
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘গাছ কেটে নিচ্ছে, এটা আমরা জানি। কিন্তু এখানে আমরা কিছু করতে পারব না। কারণ, ডিসি অফিস জমি অধিগ্রহণ করে আমাদেরকে না দেয়া পর্যন্ত এ জমির মালিক আমরা না। এছাড়া জনবল কম থাকায় পাহারাও বসাতে পারছি না। আমরা ডিসি অফিসকে জানিয়ে রেখেছি। ডিসি অফিসও কোনো দায়িত্ব নিচ্ছে না।’
জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039000511169434