কুমিল্লায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়াকে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বাদ আসর জানাযার নামাজ শেষে নগরীর টমছমব্রিজ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন : দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে এদিন বিকেল সাড়ে ৪ টায় নগরীর উত্তর বাগিচাগাঁও এলাকার অরণি হাউজের সামনে আসে মুনিয়ার মরদেহ বহন করা গাড়ি। সেখানে অপেক্ষমান স্বজনরা লাশের গাড়িতে এক পলক দেখেন মুনিয়াকে, জানান শেষ বিদায়।
কী ঝামেলায় পড়েছিল কলেজ ছাত্রী মোসারাত, নানা রহস্য
ছাত্রীর লাশ, বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
যা আছে সেই কলেজ ছাত্রীর ডায়েরিতে
কী ঝামেলায় পড়েছিল কলেজ ছাত্রী মোসারাত, নানা রহস্য
পরে সেখানে কান্নারত কন্ঠে মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বলেন, আমার বোনকে মানসিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি মামলা করেছি। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার দাবি জানাই। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
‘কলেজ ছাত্রী মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে’
লাখ টাকার ভাড়া ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন সেই ছাত্রী
উল্লেখ্য, ঢাকার একটি কলেজের ছাত্রী ছিলেন কুমিল্লার মেয়ে মোসারাত জাহান মুনিয়া। রাজধানীর গুলশানের ১২০ নম্বর রোডের একটি বাড়ির অভিজাত ফ্ল্যাটে গেল মাসের ১ তারিখে ভাড়া উঠেন তিনি। বাসাটির ভাড়া ছিল ১ লাখ টাকা। বাসায় একাই থাকতেন কলেজছাত্রী মুনিয়া। সোমবার সন্ধ্যায় ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই আশিকুর রহমান সবুজ জানান, দীর্ঘদিন নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও মুনিয়া আত্মহত্যা করতে পারে এটা মনে হয় না। ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে হয়।
মুনিয়ার জানাজা শেষে স্থানীয় প্রতিবেশীরা জানান, মুনিয়ার বাবা প্রয়াত মো. শফিকুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা। দীর্ঘদিন ভাই আশিকুর রহমান সবুজের সাথে মুনিয়া ও তানিয়ার পারিবারিক বিরোধ চলছিল, যে কারণে কুমিল্লায় নিজ বাসায় তাদের যাতায়াত কম ছিল।
এর আগে সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ভাড়া বাসা থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। গতমাসে ওই বাসা ভাড়া নেন তিনি। তার ওই বাসায় এক শিল্পপতি প্রায়ই যাতায়াত করতেন। পরে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গভীর রাতে শিল্পপতিকে আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন।